সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার ডিসির বিরুদ্ধে নির্বাচনে জেতানোর জন্য দেড়কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ সাবেক এমপি’র

By daily satkhira

March 18, 2024

নিজস্ব প্রতিনিধি : পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুর ছবি পোড়ানোর মামলায় জড়িয়ে হয়ারিন এবং প্রতারনার মাধ্যমে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাতক্ষীরা ডিসি হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ১৪ মার্চ সাতক্ষীরা-৪ আসনে সাবেক সাংসদ ও হুইপ এইচ এম গোলাম রেজা প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। গত ১৫ ডিসেম্বর কৃষ্ণনগর কিষাণ মজদুর ইউনাইটেড বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী জনসভা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করলে সেখানে চেয়ারম্যান সাফিয়ার নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে বোমা ফাটিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ওই ঘটনা কে পুজি করে ডিসি হুমায়ুন কবিরের সহযোগিতায় এইচ এম গোলাম রেজা ও তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে নেতাকর্মীদের হয়রানি করে। এছাড়া ওই ঘটনায় জড়িয়ে পারিবারিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করার ষড়যন্ত্র করে ডিসি হুমায়ুন করিব।

এর প্রেক্ষিতে ২৫ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কৃষ্ণনগর থেকে ১৮টি পরিত্যাক্ত বোমা উদ্ধার করে। পরে আবারো গোলাম রেজার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুর করলে তিনি সেটি বুঝতে পেরে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। পরে কৃষ্ণনগর কিষাণ মজদুর ইউনাইটেড বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশ করতে চাইলে সাফিয়ার মন রক্ষা করার জন্য ডিসি হুমায়ুন কবির সেটি করতে দেয়নি। উল্টো ডিসি নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রতিশ্রæতিতে গোলাম রেজার বেয়াই ইউনুস আলীর কাছে দেড় কোটি টাকা দাবি করেন। ইউনুস আলী সে দাবি মোতাবেক দেড় কোটি টাকা পৌছে দেন। কিন্তু ডিসি হুমায়ুন কবির কোন সহযোগিতা করেনি। উল্টো কালিগঞ্জ থানার সামনের একটি অফিসে পরিকল্পিত আগুনা লাগানোর ঘটনার ৩৬ দিন পরে গোলাম রেজা এবং তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করে। এবিষয়ে গোলাম রেজা বলেন, প্রথম দিকে ডিসি নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে রাজি হয়নি। যে কারনে আমার বেয়াই ইউনুস আলীর পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে ডিসি তার কাছে দেড় কোটি টাকা দাবি করে। যাতে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দাবি মোতাবেক বেয়াই টাকা পৌছে দিলেও ডিসি কোন সহযোগিতা করেনি। পরে ওই টাকা ফেরত চাইতে যাওয়াই কাল হয়েছে আমার। টাকা তো দেয়নি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে অফিস পোড়ানোর মামলা দিয়েছে। আমি আইনের মাধ্যমে ডিসির বিরুদ্ধে লড়ে যাবো। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির বলেন, একজন অভিযোগ দিতেই পারে। কর্তৃপক্ষ সেটা তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। ##