খেলা

শেষের নাটকে সিরিজে ফিরল ভিলিয়ার্সরা

By Daily Satkhira

June 24, 2017

কাউন্টির মাঠ টনটনের একটা আক্ষেপ ছিল। সেই ১৯৯৩ সালে এখানে পুরুষদের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। আর ইংল্যান্ডের জাতীয় দল এই মাঠে শেষ খেলেছে ১৯৮৩ সালে। ৩৪ বছর পর ইংলিশরা এখানে খেলতে নেমে শেষ ওভারে ৩ রানে হেরে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানের সমীকরণ করেছে।  অলিখিত ফাইনালটি অনুষ্ঠিত হবে ২৫ জুন, কার্ডিফে।

আন্তর্জাতিক ম্যাচের আক্ষেপ ঘোচানোর দিনে টনটনে সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। অভিষিক্ত টম কুরান বল হাতে তিন উইকেট নিয়ে নিজের আগমনী বার্তা ছড়িয়ে দেন। তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে  নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে সাউথ আফ্রিকা। কুরান তিন উইকেট নিতে ৩৩ রান খরচ করেন।

শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২৯ রান। দলটি শেষ পর্যন্ত ৩ রানে হেরে যায়।

সাউথ আফ্রিকা দলীয় ২৫ রানের মাথায় রেজা হেনড্রিকসকে (৭) হারায়। এরপর জেজে স্মুটস ৩৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। তিনি ফিরলে অধিনায়ক ভিলিয়ার্স চেষ্টা করেন স্কোর বড় করার। ২০ বলে ৪৬ রানের ছোট একটা ঝড়ে শেষ হয় তার লড়াই। এরপর ফারহান বেহারদিয়েন এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৩২ করে যান।

জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ড ১৫ রানের মাথায় বিলিংসকে (৩) হারায়। কিন্তু অভাব বুঝতে দেননি জ্যাসন রয়। জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে ১১০ রানের জুটি গড়ে দলকে পথে রাখেন। বেয়ারস্টো  মরিসের বলে  বেহারদিয়েনের হাতে  ধরা পড়েন। যাওয়ার আগে ৩৭ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে যান।

রয় যখন ফেরেন তখন তার সংগ্রহ ৬৭। বিরল আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। ক্রিকেটের ভাষায় যাকে বলে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’।

১৬তম ওভারে লিভিংস্টোন মরিসকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মারেন। রয় অন্য প্রান্ত থেকে রানের জন্য ছোটেন। এক পর্যায়ে তিনি ক্রিজে ফেরত যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন ফিল্ডারের কাছ থেকে আসা বল ‘ইচ্ছা করে’ নিজের শরীরে লাগিয়ে রানআউট থেকে বাঁচতে চেষ্টা করেন। মাঠের দুই আম্পায়ার থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য নিয়ে আউট ঘোষণা করেন। এরপর একটু একটু করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ইংলিশরা।

১৮তম ওভারে বাটলার ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। এই ওভার থেকে আসে ৮ রান।

পরের ওভারে ডেন প্যাটারসন ইয়ন মরগানকে (৬) ফেরালে খেলা আরও জমে ওঠে। শেষ ওভারে ইংলিশদের দরকার পড়ে ১২ রান। ক্রিজে ছিলেন লিয়াম ডসন এবং লিয়াম লিভিংস্টোন।  পঞ্চম বলে ডসন চার হাঁকিয়ে ইংলিশদের আশা দেখান। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার পড়ে আরও চার। ফেলুকাওর করা অফস্টাম্পের বাইরের বলে হাঁটুগেড়ে খেলতে যেয়ে মিস করেন ডসন। তাতেই হার দেখতে হয় তাদের।