শ্যামনগর প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরে ভূমিহীন নেতা পরিচয় দানকারী মোকছেদ আলী বিরুদ্ধে জমি ও টাকা দেওয়ার নাম করে বহু অসহায় ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তুলেছেন এক নারী। এ ঘটনায় ভূরুলিয়া ইউনিয়নের শারমিন সুলতানা নামে এক অসহায় নারী, ১০৮, সাতক্ষীরা-০৪, আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন বরাবর টাকা ফেরত পাওয়া সহ এই মোখছেদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলেন, মোকছেদ আলী গাজী বিগত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার চুক্তিতে পৌরসভার শ্যামনগর মৌজায় ২ শতক জায়গা ও সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য উক্ত টাকা গ্রহন করে। কিন্তু সরকারি জায়গা ও ঘর কোনটি দিতে না পারায় টাকা ফেতর চাইলে তিনি টাকা দিতে তালবাহনা শুরু করে। ভুক্তভোগী নারী গত জুলাই মাসে সড়ক দূর্ঘটনায়র খুলনা ২৫০ সয্যা হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বাড়ীতে আসলে পাঁচ হাজার টাকা ফেরত দেয়। বাকি টাকা ফেরত চাইলে মোকছেদ আলী বলেন ওখানে অনেক পরিবার বসাবস করছে, এস, এম, আতাউল হক (দোলন) এম,পি বাড়ীতে আসলে আমি সকল সমস্যা সমাধান করে দেবেন বলে নানান তালবাহানা করে আসছে।
তিনি আরো জানান, আমি একজন অসহায় নারী একটি বে- সরকারি মাদ্রাসায় সামান্য বেতনে চাকুরি করি যাহা আমার ২ ছেলে মেয়ের পড়া-শুনা ঠিকমত করাতে পারিনা। আমি জনাতে পারি যে আমাকে যে জায়গা দেবে বলেছিল সে জায়গা মূলত নকিপুর গ্রামে সুজা মাহমুদ গাজীর ক্রয়মৃত রেকর্ডীয় মালীকানা সম্পতি। যার ফলে আমি তার কাছে জমির কাগজ চাইলে তিনি আমাকে ঘরবেধে থাকার জন্য বলেন, আরো বলেন, পরবর্তীতে কাগজ করে দেবো। মাটি ভরাটের জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং জমি দখলের জন্য আরও ৩০ হাজার টাকা এবং জায়গার দাম ৬০ হাজার টাকা সর্ব মোট এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা দাবী করে। সংসদ সদস্য এ বিষয় শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপর প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করার জন্য লিখিত নির্দেশনা দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, ভূমি জবর দখল করা তাঁর পরিবারের একটি নেশা, তাঁর ছেলে রহমত আলী একজন মাদক ব্যাবসায়ী,এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজ। এই রহমত আলীর বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানা পুলিশের উপর হামলা,তাদের সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, মেডিকেল অফিসার উপর হামলা , সাংবাদিকদের উপর হামলা, চাাঁদাবাজী মামলা সহ বহু অসহায় গরীব মানুষের জমি ঘের দখলের ঘটনায় শ্যামনগর থানায় প্রায় এক ডজনের উপরে মামলা রয়েছে। এই ভুমিদস্যু মোখছেদের জামাই সাবের মিস্ত্রি একজন উপজেলা পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। তার বিরুদ্ধে সাবেক এক সংসদ সদস্যের ছত্রছায়ায় এলাকায় মসজিদের জায়গা এবং এক ইমাম সাহেবের নকিপুর সদরে প্রায় কয়েক কোটি টাকার এক বিঘার বেশি দুটি জমি দখল সহ চাঁদা বাজি লুটপাট করাসহ বহু অভিযোগ রয়েছে।
ইতিমধ্যে সদরে গাজীপড়া জামে মসজিদ ও থানা মসজিদের ইমাম সাহেবের কোটি টাকা মুল্যের দুটি জায়গায় জোরপূর্বক দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা সহ সুদের ব্যাবসা করে এলাকার সাধারণ মানুষ কে নিঃশ্ব করে ফেলার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এ সকল অভিযোগ থাকায় উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থাসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ভুক্তভোগী জনসাধারণ।