নিজস্ব প্রতিনিধি : চিকিৎসার নামে সৌদী প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরোকিয়ায় জড়িয়ে আলোচনায় এসেছেন সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক রাজিবুল ইসলাম। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি করেন হোমিও চিকিৎসা। স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার সুবাদে চিকিৎসার নামে স্ত্রীর সাথে গড়ে তোলেন অবৈধ সম্পর্ক। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ওই শিক্ষক কাম ডাক্তার কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বহিস্কারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসীসহ স্থানীয়রা। তবে এ অভিযোগ কে নিছক ষড়যন্ত্র বলছেন অভিযুক্ত রাজিবুল।
জানা গেছে, পুরাতন সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসা পাড়ার মামুন দীর্ঘদিন ধরে সৌদী আরবে চাকুরী করতেন। ছুটিতে বাড়ি এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের অনেকদিন অতিবাহিত হলেও কোন সন্তান না আসায় স্থানীয় কথিত হোমিও চিকিৎসক আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক রাজিবুল ইসলামের কাছে চিকিৎসা করাতে পাঠান স্ত্রীকে। ছুটি শেষ হলে তিনি পুনরায় সৌদী আরবে চলে যান। এ সুযোগে কৌশলে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে ফাঁদে ফেলে তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন রাজিবুল। একপর্যায়ে প্রবাসীর পাঠানো টাকাও হাতিয়ে নেয় নারীলোভী রাজিবুল ইসলাম। গত ২ মার্চ প্রবাসী বাড়িতে ফিরে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি অবগত হন। এমনকি একত্রে দুজনকে ধরেও ফেলেন তিনি। সে সময় রাজিবুল ওই নারীকে বিয়ের শর্তে মুক্তি পেলেও পরে অস্বীকৃতি জানান। ভুক্তভোগী আরো জানান, রাজিবুল তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের কথা নিজে স্বীকার করেছেন। যার প্রমান সংরক্ষিত আছে।
তবে অভিযুক্ত রাজিবুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একজন রোগীর সাথে চিকিৎসকের যে সম্পর্ক থাকে, আমার সাথে ওই নারীর সেই সম্পর্ক রয়েছে। এর বাইরে কোন সম্পর্ক নেই। তবে তার ভিডিও ডকুমেন্ট এবং অডিও সংরক্ষিত আছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন এটি এডিটিং করা। আমাকে বøাক মেইল করা হচ্ছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলিয়া মাদ্রাসার একাধিক অভিভাবকরা বলছেন,আলিয়া মাদ্রাসার সুনাম রক্ষা করতে ওই শিক্ষককে দ্রæত বরখাস্তসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব পড়বে। যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নারীদের জিম্মি করে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে তার কাছে কোন ভাবেই মেয়েদের পড়ানো নিরাপদ হবে না। শিক্ষক রাজিবুল কে বহিস্কারের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
অন্যদিকে ওই নারী লম্পট রাজিবুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে উল্লেখ করেছেন রাজিবুল ঔষধ সেবন করিয়ে অচেতন করে তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তিনি ওই লম্পট রাজিবুলের শাস্তি দাবি করেছেন।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাজাহান কবির বলেন, যদিও মাদ্রাসা অধিদপ্তর আমাদের মধ্যে না। তারপরও বলব একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এধরনের কার্যক্রম প্রত্যাশা করা যায় না। অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দপ্তর বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আলিয়া মাদ্রাসার সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো: হুমায়ুন কবির বলেন, এবিষয়ে এডিসির নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছিল। তদন্তের প্রতিবেদন দেখে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।##