স্বাস্থ্য

কোকাকোলা শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর?

By Daily Satkhira

June 25, 2017

ইদে খাওয়া-দাওয়ার সাথে নিশ্চয়ই কোম পানীয় পান করার আগ্রহ অনেকেরই আছে। কিন্তু একটু জেনে রাখা উচিৎ কোমল পানীয় আপনার শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে। প্রচণ্ড গরম কিংবা বিয়ে বাড়ির আপ্যায়ন এক গাল হেসে কোকাকোলার একটা বোতল হাতে ধরিয়ে দিয়ে অনেকেই বলেন ‘একটু ঠাণ্ডা খেয়ে নিন’। আপনিও এদিক ওদিক না দেখে ঢক ঢক মেরে দিলেন। আপনিও জানলেনও না আপনার শরীরে কতটা ঠিক কতটা ক্ষতি হয়ে গেল একটু ঠাণ্ডায়।

কোক কিংবা অনান্য সফট ড্রিঙ্ক শরীরে কতটা ক্ষতি করছে এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক লেখালেখি হয়েছে। তবুও তেমন কোনও সচেতনতা দেখা যায়নি। তাই সচেতনতা বাড়াতে সরাসরি কোকাকোলার বিজ্ঞাপনকেই হাতিয়ার করা হল।

গত কয়েকদিন ধরে কোকের একটি বিজ্ঞাপন ইন্টারনেটে বেশ ভাইরাল। এই বিজ্ঞাপনে কোক তৈরি থেকে শুরু করে খাওয়া পর্যন্ত কি কি ক্ষতি করছে মানব শরীরে সব দেখানো হয়েছে। সরাসরি বলা হচ্ছে ‘ডোন্ট ড্রিঙ্ক কোক। আপনি যদি আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন চান, তবে এখুনি কোকাকোলা খাওয়া বন্ধ করে দিন’ এটায় ইউএসপি কোকের বিজ্ঞাপনটির। যা দেখে রীতিমত তোলাপার শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে।

আপনি হয়তো শুনে চমকে গিয়েছেন। কোককোলা কোম্পানি নিজেদের প্রোডাক্টের ক্ষতিকর দিক এভাবে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডিসপ্লে করছে? তবে কেউ তো আর কোক খাবে না! এখানেই হচ্ছে মেইন চমক। যাতে বলা হয়েছে কোক খাওয়ার ফলে দাঁত নষ্ট হতে পারে, আপনি মোটা হয়ে যেতে পারেন, এমনকি আপনার লিভার এবং কিডনিও ড্যামেজ করে দিতে পারে। তাই ‘ডোন্ট ড্রিঙ্ক কোক’।

এই বিজ্ঞাপন রিলিজ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে একে নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে। ৬০০ মিলিলিটারের বোতল নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। কোকাকোলা ও পেপসিকোর ওই পানীয়গুলোতে ক্ষতিকর মাত্রায় সীসা, ক্যাডমিয়াম, অ্যান্টিমনি, ক্রোমিয়াম, ডিইএইচপি পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে পেপসিকো ইন্ডিয়ার মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, পরীক্ষার পদ্ধতি সম্পর্কে না জেনে এ ব্যাপারে এখনই মন্তব্য করা যাচ্ছে না। এদিকে কোকাকোলায় এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, কোম্পানির তরফ থেকে কিছু বলা হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যে ১০টি পদার্থের কথা জানিয়েছে এর মধ্যে শীর্ষে আছে সীসা ও ক্যাডমিয়াম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, শিশু স্বাস্থ্যের জন্য সীসা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বেশিমাত্রায় সীসার সংস্পর্শে মস্তিষ্কে ও স্নায়ুতন্ত্রে ব্যাপক ক্ষতি হয়। সীসার কারণে শিশুর মানসিক সমস্যাও হতে পারে। অন্যদিকে ক্যাডমিয়াম সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে। একইসঙ্গে শ্বাসতন্ত্রের জন্য ক্যাডমিয়াম বেশ ক্ষতিকর। সূত্রঃ কলকাতা ২৪