আশাশুনি

আশাশুনিতে শালিসেও জমি নিয়ে বিরোধ মিমাংসা না হওয়ায় আত্মহত্যা!

By daily satkhira

July 15, 2024

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো: জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ শালিসেও মিমাংসা না হওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন আশাশুনি উপজেলার কাকবাসিয়া গ্রামের বেদের সানা (৬৫)। সোমবার (১৫ জুলাই) ভোরে বাড়ির বারান্দা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বেদের সানা ওই গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। বেদের সানার সেজ ছেলে সাইফুল ইসলাম সানা ও ছোট ছেলে বাচ্চু সানা জানান, জমির এওয়াজ নিয়ে প্রতিবেশী রেজাউল মেম্বার, রুহুল আমিন সানা ও বাবু সানাদের সাথে তাদের গোলযোগ চলে আসছিল। বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে রোববার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের উপস্থিতিতে শালিস হয়। কিন্তু নিষ্পত্তি হয়নি। রাতে সকলে ঘুমাতে যান। ভোরে ঘরের বারান্দায় তারা বাবা বেদের সানার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

এদিকে, স্থানীয়রা জানান, বেদের সানারা প্রতিবেশি শরিকদের সাথে জমি এওয়াজের মাধ্যমে একেকজন একেক জায়গায় ভোগ দখল করছিল। তারপরও বেদের সানার ভোগদখলকৃত অংশের মধ্যে প্রতিবেশিদের জমি ছিল বলে তারা দাবি করে। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোলযোগ হয়। গোলযোগ নিষ্পত্তির জন্য রোববার শালিস হয়। শালিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেদের সানাকে অন্য শরিকের জমি ছাড়তে বলা হয়। এসময় তিনি তার ভাইপো শরিকদের অনুনয় বিনয় করে জমির বদলে টাকা নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু শরিকরা তাতেও রাজি না হওয়ায় বিষয়টি ঝুলে ছিল। এক পর্যায়ে সকলে চলে যায়। সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। ভোরে নিজ বাড়ির বারান্দায় বেদের সানার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা। বেদের সানার সেজ ছেলে সাইফুল ইসলাম সানা ও ছোট ছেলে বাচ্চু সানার দাবি, জমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় আত্ম অভিমানে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন।

আশাশুনি থানার এসআই পিয়াস জানান, বেদের সানার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।