ফিচার

সাতক্ষীরায় চেয়ারম্যান আনারুল হত্যায় সাবেক পুলিশ কর্মকতা মঞ্জুরুল কবির ও মনিরুজ্জামানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

By daily satkhira

August 21, 2024

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল হত্যায় সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান সহ পুলিশ এবং আওয়ামীলীগের ১৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

২১ আগস্ট সাতক্ষীরা আমলি ১ নং আদালতে নিহতের ভাই জিয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক নয়ন কুমার বড়াল বাদির লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অন্যান্যা আসামীরা হলেন, সদর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক, সাবেক এস আই হেকমত আলী, সখিপুর গ্রামের মৃত রিয়াজউদ্দীন গাজীর পুত্র আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ও জিপি গাজী লুৎফর রহমান, কাশেমপুর গ্রামের মৃত নাজির উদ্দীন সরদারের পুত্র জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, তার ভাই আব্দুল হান্নান, একই এলাকার মৃত কালাচাদ সরদারের পুত্র হবিবার রহমান, মাহাবুবুর রহমান, ইন্দিরা গ্রামের মৃত মোহর আলীর পুত্র হাশেম আলী,মৃত আবুল কাশেমের পুত্র তহিদুল ইসলাম, মৃত জব্বারের পুত্র নজরুল ইসলাম, মৃত কওছার আলীর পুত্র সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শওকত হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ, রসুলপুর গ্রামের মৃত কোমর উদ্দীন সরদারের পুত্র জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবু আহম্মেদ, কাশেমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র রবিউল ইসলাম, মৃত. নুর ইসলাম গাজীর পুত্র ইয়াহিয়া গাজী এবং শাল্যে গ্রামের মৃত আব্দুল গফফারের পুত্র সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু।

মামলার বিবরনে জানা যায়, বিগত ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুর কবির এবং পুলিশের অন্যান্যা সদস্যসহ উল্লেখিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় একটি সাদা গাড়ীতে করে আগরদাড়ী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আনারুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে তাকে সদর থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে। পরে চোখ বেধে সদর উপজেলার শিকড়ী ফাকা মাঠে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। সে সময় নিহতের স্বজনরা মামলার করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো বিভিন্ন ধামকি প্রদর্শণ করে। যে কারনে সে সময় মামলা করতে পারেনি। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসায় ভাই হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেছেন বলে জানান বাদী জিয়ারুল ইসলাম। ###