খেলা

বাংলাদেশ ছেড়ে শ্রীলঙ্কার কোচ হবেন হাথুরুসিংহে!

By Daily Satkhira

June 25, 2017

শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ৪৫ মাস কাজ করার চুক্তি ছিল গ্রাহাম ফোর্ডের। কিন্তু মাত্র ১৫ মাস যেতে না যেতেই নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান তিনি। তার এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে বিস্মিত শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট সংস্লিষ্ট সকলে।

তবে এই মুহূর্তে অতীত নিয়ে পড়ে না থেকে ফোর্ডের যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে বের করার মিশনে নেমেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। এবং তাদের প্রথম পছন্দ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। ইতিমধ্যেই তারা নাকি নিজেদের প্রস্তাব নিয়ে হাথুরুসিংহের সাথে যোগাযোগও করে ফেলেছে, এমনটাই খবর শ্রীলঙ্কান গণমাধ্যমের।

হাথুরুসিংহে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান কোচ। ২০১৪ সালে দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন তিনি। এরপর গত বছর জুনে আরও তিন বছরের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-র সাথে চুক্তি নবায়ন করেন তিনি। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিতব্য ক্রিকেট বিশ্বকাপ পর্যন্ত টাইগারদের সাথে থাকার কথা রয়েছে তার।

হাথুরুসিংহের অধীনে গত তিন বছরে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের। শুরুর দিকে, এবং এখনও, বিভিন্ন ব্যাপারে হাথুরুসিংহের ‘স্বৈরাচারী’ মনোভাব নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকে।

আবার এ কথাও ভুলে যাওয়ার নয় যে তার অধীনেই ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টারফাইনাল, ২০১৬ এশিয়া কাপের ফাইনাল ও সর্বশেষ ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে জয়, প্রথমবারের মত ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে টেস্ট ম্যাচে হারানো ও শ্রীলঙ্কায় গিয়ে তাদেরকে টেস্টে হারানো – সবই হয়েছে তারই অধীনে। তাই বিসিবি যে খুব সহজে হাথুরুসিংহেকে ছাড়তে চাইবে না, সে কথা বলাই বাহুল্য।

তারপরও হাথুরুসিংহের সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য আশাবাদী করেছে এসএলসিকে। যদিও এসএলসির সাথে তার অতীত সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়, তবু যখন বাংলাদেশ গত মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিল, তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তিনি আবারও শ্রীলঙ্কার কোচ হতে আগ্রহী কিনা। আর তার জবাবে তিনি ইতিবাচক সাড়াই দিয়েছিলেন।

সে সময়ে ক্রিকইনফোকে বলেছিলেন, ‘তারা (এসএলসি) আমাকে ডাকলে আমি অবশ্যই আসব। আমি আজ যে অবস্থানে রয়েছি তার সবটাই আমি শিখেছি শ্রীলঙ্কায় খেলার সময়ে। ২০ বছর ধরে শ্রীলঙ্কায় শেখার পর আমি অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছি এবং সেখানেও অনেক কিছু শিখেছি। কিন্তু শ্রীলঙ্কা যদি কখনো আমাকে ডাকে, আমি খুশি মনে সেই ডাকে সাড়া দেব, এবং নিজ দেশের জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করব।’