আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের উত্তর চাপড়ায় হত্যা ও হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির বিচার চেয়ে আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টায় এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
উত্তর চাপড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে ইউনুছ আলী সরদারের পক্ষে নয়াখালী গ্রামের মৃত আয়জদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব ও লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, পাশের বেতনা নদীর তীরবর্তী এসএ মালিক ছোরমান সরদার দিং এর সম্পত্তি আরএস রেকর্ডে খাস খতিয়ানভুক্ত হয়েছে। ছোরমান সরদারের ছেলে ফজলুল হক রেকর্ড সংশোধনের জন্য দেং মামলা রুজু করেন। যা বিচারাধীন আছে।
এই জমিতে প্রতিপক্ষ উত্তর চাপড়া পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের নামে সাইনবোর্ড স্থাপন করে জবর দখলে নেয়। মসজিদের কমিটির সেক্রেটারী আঃ ছালামসহ অনেকে এর বিরোধীতা করেন।
এক পর্যায়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু ও তার ভাই সাজ্জাদুল হক লাভলুর হুকুমে নজরুল ইসলাম লাল্টু, মিঠু সরদার, আবুল কাশেম, মুনছুর, বিল্লাল, জয়নাল, গাউছুল, ইয়াছিন, আজহারুলসহ ২১ জন ও অজ্ঞাত আরও ৪০/৫০ জন দা, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, জিআই পাইপ, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিঢে ইউনুছের চাচাত ভাই আঃ সালামের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে অনুমান ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়। ইউনুছ আলী সরদার সহ আঃ আজিজ সরদার,
রেজাউল সরদার ও জাকারিয়া সরদার হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গেলে জাকারিয়া সরদার মাথায় হাড়কাটা যখম প্রাপ্ত হয়ে গুরুত্বর আহত হন। তাকে প্রথমে সাতক্ষীরা মেডিকেল নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকারিয়া মৃত্যু বরণ করেন। হামলায় আঃ আজিজ, রেজাউল, হায়দার আলী, ইউনু্ছ, আজিজুর, কাদের, হাফিজুল, মুজাহিদ এবং আরও ১০/১২ জন আহত হন। এদিন বেলা ১০.৩০ টার দিকে মহেশ্বরকাটি মৎস্য সেটে হামলার হুকুমদাতাদের কুট কৌশলে একটি মিছিল করা হয়।
এঘটনা নিয়ে আশাশুনি থানা ও আদালতে মামলা রুজু করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত ও হুমুকদাতাদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয়।