“বিশ্বব্যাপী আলোচনা বা কর্মপরিকল্পনার মূল লক্ষ্য যুবক। তাদেরকে আদর্শচ্যূত করার জন্য চলছে নানা রকম চক্রান্ত। সে ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়া যাবেনা। হালাল-হারামের সীমা মেনে চলতে হবে। চাকরি নয়, উদ্যোক্তা হয়ে অন্যের কর্মসংস্থান করতে হবে। সমস্যায় কাতর না হয়ে যোগ্যতা অর্জন করে তা মোকাবেলা করতে হবে। দ্বীনের পথে চলাকে জীবনের প্রধান মিশন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।” বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শহর যুব বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মীদের নিয়ে শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরা শহর যুব বিভাগের সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জিয়ারুল ইসলামের পরিচালনায় গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াত কার্যালয়ের কাযী শামসুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মী শিক্ষাশিবিরে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা যুব বিভাগের সভাপতি প্রভাষক ওমর ফারুক, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা রুহুল আমিন ও শহর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আবু হামিমসহ প্রমূখ।
প্রধান অতিথি মুহাঃ রবিউল বাশার আরো বলেন, যৌবনকাল আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যেক মানুষের অন্যতম নিয়ামত। যৌবনকালের দাবি হলো আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলা এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দেখানো পথে ও কল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত থেকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য মজবুত কদমে বলিষ্ঠতার সাথে এগিয়ে যাওয়া। এটা ঠিক যে, যুবকদেরকে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যত বাধা-বিপত্তিই আসুক না কেন, তা উপেক্ষা করে আল্লাহর গোলামিয়াতের পথে থাকতে হবে। জীবন দর্শন হিসাবে ইসলামী আদর্শ আজ বিকশিত হচ্ছে। এ আদর্শকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব যুবকদেরকেই নিতে হবে।
শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, “ইসলামী জীবনবোধে যুবকদেরকে গুরুত্বপূর্ণ আসনে স্থান দেয়া হয়েছে। নবীগণ যুবক ছিলেন। নবীগণের অধিকাংশ অনুসারীগণও ছিলেন যুবক। তাই ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুবকদেরকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।” প্রেস বিজ্ঞপ্তি