ফিচার

দুই পক্ষের দ্ব›েদ্ব সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভা ভুন্ডল

By daily satkhira

September 16, 2024

নিজস্ব প্রতিনিধি : ভুয়া ভুয়া শ্লোগানে সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা ভুন্ডল হয়ে গেছে। ছাত্রদের দুই পক্ষের দ্ব›েদ্ব সভা না করেই সাতক্ষীরা ত্যাগ করেন বিভাগীয় সমন্বয়করা। সোমবার বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম সমম্বয়ক নাজমুল হোসেন রনি জানান, শিল্পকলা একাডেমিতে বিকেলে ওয়াহিদুজ্জামান, আকরাম হোসেন রাজসহ বিভাগীয় সমম্বয়কদের সাথে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের বৈঠক চলছিল। মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন বিভাগীয় সমম্বয়ক আকরাম হোসেন রাজ। এসময় জয় ও সান নামের দু’জন ছাত্র অডিটরিয়ামে আসন বন্টন নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণের মধ্যে তারা ভ‚য়া ভ‚য়া শ্লোগান দিয়ে তাদের অনুসারীদের নিয়ে বাইরে চলে যাওয়ার ঘোষণা দেন সান। এসব হট্রগোলের মধ্যে বক্তব্য শেষ করেন রাজ।

আরেক সমম্বয়ক ইমরান হোসেন বলেন, স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছেন ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারীরা, এমনই অভিযোগ এনে ছাত্রদল সমর্থক জয় ও সান অনুসারীরা ভূয়া-ভূয়া শ্লোগান দেয়। যার কারনে থেকে সভায় হট্টগোল শুরু হয়।

তবে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শেখ শরিফুজ্জামান সজীব ও সাধারন সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন জানান, জয় ও সান নামের ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মী নেই। ছাত্রদলের কর্মী বলে যাদের পরিচয় দেওয়া হচ্ছে, এটা ষড়যন্ত্রমুলক। ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মী আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান তারা। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, সাতক্ষীরার কয়েক সমম্বয়ককে বাদ দিয়ে অন্যান্যদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা হয়েছে। এরই জের ধরে শিল্পকলা একাডেমিতে হৈ-হট্রগোল শুরু হয়। ছাত্রদের এক পক্ষ মঞ্চে উঠে মাইক হাতে বলতে শুরু করেন, সাতক্ষীরায় আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে যারা সামনে থেকে আন্দোলন করছে, তাদের সাথে বৈষম্যমুলক আচরণ করা হচ্ছে। তাই প্রোগ্রাম হতে দেওয়া হবেনা। তাদেরকে প্রোগ্রাম বন্ধ করে ফিরে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন তারা। এরপর থেকে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো অডিটরিয়াম। একে-অপরের সাথে হট্রগোলে জড়িয়ে সভা ভুন্ডল হয়। পরে অডিটরিয়ামের সামনে ছাত্রদের দু’গ্রæপ মুখো মুখি অবস্থান নেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ##