ফিচার

১৬ বছর পর সাতক্ষীরায় জামায়াতের রুকন সম্মেলন

By daily satkhira

September 20, 2024

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত বিজয় টেকসই ও অর্থবহ করতে ১৬ বছর পর প্রকাশ্যে রুকন সম্মেলন ও শিক্ষা বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখা। শুক্রুবার (২০ সেপ্টেম্বর ) সকাল থেকে সাতক্ষীরা আলামিন ট্রাস্টে সাবেক এমপি কাজী শামসুর রহমান অডিটোরিয়ামে এই শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার আমির মুহাদ্দিস রবিউল বাশারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক।

সেক্রটারী মাওলানা আজিজুর রহমানের উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত রুকন শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।

কর্মশালায় বিষয় ভিত্তিক আলোচনা রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর, উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল। রুকন সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের জেলা নায়েবে আমীর, শেখ নুরুল হুদা,সহকারী সেক্রেটারী প্রফে. ওবায়দুল্লাহ, প্রফে. ওমর ফারুক, মাহবুবল আলম, জেলা কর্মপরিষদ এ্যাড.আব্দুস সুবহান মুকুল, ডা.মাহমুদুল হক, জামশেদ আলম, অফিস সেক্রেটারী রুহুল আমিন, মাওলানা ওসমান গনি, অধ্যাপক আব্দুল ওয়ারেস, শহর আমির জাহিদুল ইসলাম, সেক্রটারী খোরশেদ আলম, সহকারী সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান, সদর আমীর মাওলানা শাহাদাত হোসেন, শহর ছাত্র শিবিরের সভাপতি আল মামুন, জেলা ছাত্র শিবরের সভাপতি ইমামুল হোসেন প্রমুখ। প্রধান অতিথি মুহাদ্দিস রবিউল বাশার বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এ বিজয় টেকসই ও অর্থবহ করতে দল-মত-নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় রুকনদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। সকল পর্যায়ে দায়িত্বশীল মানুষ তৈরি করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এখন দেশটাকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী যেন সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে দেশ গড়ার কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে।

বিশেষ অতিথি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আওয়ামী-বাকশালীরা মানুষের মর্যাদা দেয়নি, বরং আমাদের ক্ষেত্রে সব সময় শূন্য সহনশীলতা দেখানো হয়েছে। আমাদের ওপর অঘোষিতভাবে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ আগে থেকেই ছিল। এমন কোনো জুলুম-নির্যাতন নেই, যা আমাদের ওপর চালানো হয়নি। প্রথমসারির সকল নেতাকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম-খুন করা হয়েছে। কিন্তু তারা জামায়াতের অগ্রযাত্রা কোনোভাবেই রোধ করতে পারেনি।

বরং শত শাহাদাত ও জুলুম-নির্যাতনের পথ ধরেই জামায়াত কাক্সিক্ষত গন্তব্যে সফলভাবেই অগ্রসর হচ্ছে। আগামী দিনে মানবতার মুক্তির জন্য বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।