ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, কালিগঞ্জঃ কালিগঞ্জের মৌতলা ইউনিয়নে পুর্ব মৌতলা গ্রামে ছকিনা খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধু আত্নহত্যা করেছে। স্থানিয় সুত্রে জানা যায় রবিবার আনুমানিক দুপুর দুইটার সময় শ্বাশুরির নির্যাতনে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ফাস লাগিয়ে আত্নহত্য করে। সে কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজার গ্রাম এলাকার আদম জোর্য়াদারের মেজ মেয়ে। পারিবারিক সুত্রে জানা যায় দীর্ঘ ৫ বছর আগে মৌতলা গ্রামের ফল ব্যবসায়ী খান জহুরের একমাত্র ছেলে ফজলুর সাথে বিয়ে হয় মামাত বোন ছকিনা খাতুনের সাথে। বিয়ের দুই বছর পর তাদের ঘর আলো করে আসে একটি ছেলে সন্তান। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্য ভালবাসার ঘাটতি না থাকলেও ভাল সম্পর্ক ছিল না শ্বাশুরির সাথে। বিয়ের এক বছর পর থেকেই মানসিক ও শারিরিক ভাবে নির্যাতন করত আপন ফুফু ছকিনার শ্বাশুরি। এই জন্য শ্বাশুরির নির্যাতনে প্রায় বাবার বাড়ি চলে যেত ছকিনা। গত ১৫ দিন আগেও শ্বাশুরির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে যায় ছকিনা। কিন্তু সংসারে মায়া ও স্বামীর প্রতি অগাধ ভালবাসার কারনে শ্বশুরের ফোন পেয়ে গত শুক্রুবার (২৩-৬-১৭)তারিখে আবার স্বামীর বাড়ি ফিরে আসে ছকিনা।কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস স্বামীর বাড়ী ফিরে আসলেও আবার শুরু হয় শ্বাশুরির নির্মম নির্যাতন রবিবার দুপুরে শ্বাশুরির মানসীক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিজের বাস ঘরেই ওরনা দিয়ে টিনের চালের আড়ার সাথে ফাস দিয়ে আত্নহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয় ছকিনা। এ বিষয়ে ছকিনার মা মেয়ের শোকে বিলাপ করতে করতে বলেন আমার মেয়েটাকে বড় সাধ করে ওর ফুফাত ভাইয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে ছিলাম। কিন্তু আমার মেয়েকে ওর ফুপু প্রতিনিয়ত মারধর করত কিন্তু আমরা কোনদিন কিছু বলিনি আমার মেয়ে তার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্নহত্য করেছে। এলাকা বাসীরা বলেন মেয়েটাকে ওর শ্বাশুরি প্রতি নিয়ত শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করত রবিবার দুপুরেও আমরা চিৎকার শুনতে পায় কিন্তু আমরা এটা প্রতিদিনের ব্যাপার মনে করে আমরা কেউ ওদের বাড়িতে আসেনি কিন্তু এতবড় একটা দূর্ঘটনা ঘটে যাবে আমরা একটুও বুঝতে পারিনি তিন বছরের একটি বাচ্চা রেখে শ্বাশুরির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্নহত্যার পথ বেছে নেবে মেয়েটি আমরা ভাবতেও পারিনি। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার উপ-পরদির্শক শুধাংশু শেখর হালদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ বিষয়ে সখিনার পরিবার মামলা করতে না চওয়ায় তাদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত না করে লাশ তার বাবার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয় থানার উপ-পরিদর্শক ইমদাদুল হক বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু দায়ের করেছে (মামলা নং-১৫ তারিখ ২৫-৬-১৭ ইং খ্রিঃ)।