ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশের ১০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সরবরাহের আদেশ দিয়ে বিপাকে পড়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত মার্চে অ্যাঞ্জেলিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সরবরাহের চুক্তি করে। জানা গেছে, সম্প্রতি ভি কে লাম্বা একজন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে একটি চিঠি পাঠিয়ে জানায় অ্যাঞ্জেলিক ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত এবং ওই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের পরিচালকের বিরুদ্ধে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আবেদনটি অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে।
গত ৫ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় অ্যাঞ্জেলিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে কাজ দেওয়া হয় এবং চুক্তিপত্র সম্পাদন করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি নির্দেশনা পেয়েছি তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগ সত্যি কি না সেটি জানার জন্য।’
আমরা ইতিমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানিয়েছি এবং তাদের অনুরোধ করেছি বিষয়টি ভারতীয় দূতাবাসে জানানোর জন্য এবং কাছ থেকে এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য। এ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আগামী কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ যে, ভিকে লাম্বা প্রধানমন্ত্রীর দফরে চিঠি লিখে জানায় অ্যাঞ্জেলিক ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে আফ্রিকার কয়েকটি দেশে অনেকগুলি দুর্নীতি মামলা আছে এবং সেখানে তারা বিভিন্ন জনকে ঘুষ দিয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, অ্যাঞ্জেলিক ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ও মালিক অজয় কিষাণ গোয়েল ও এম পি গুপ্তের বিরুদ্ধে ভারতের সিবিআই তদন্ত করছে এবং কোর্টে চার্জশিট জমা দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।