শ্যামনগর প্রতিনিধি : পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে আত্মসমর্পনকৃত বনদস্যুদের পুনরায় তৎপর হওয়ার প্রতিবাদে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মানববন্ধন হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টা থেকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে ঘন্টাব্যাপী ঐ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের মৎস্যজীবিদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে বনজীবি ও তাদের পরিবারসহ উপকুলীয় জনপদের নানা শ্রেনী পেশার মানুষ বক্তব্য রাখেন।
সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীর মৎস্যজীবি আজিবর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জামায়াত দলীয় সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপি সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, মৎস্যজীবি আমজাদ হোসেন, ফজলুর রহমান, মোশারফ হোসেন, আব্দুস সাত্তার, ফজলুর রহমান(২) প্রমুখ।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া বনজীবিরা বলেন গত আট/নয় সপ্তাহ ধরে সুন্দরবনে আবারও দস্যু তৎপরতা শুরু হয়েছে। ইতিপুর্বে র্যাব-এর হাতে অস্ত্র সমর্পন করে আত্মসমর্পনকারী মজনুসহ মিলন পাটোয়ারী ও আলিম নিজ নিজ বাহিনী নিয়ে সুন্দরবনে যাওয়া জেলেদের মুক্তিপনের জন্য অপহরণ করছে। প্রতি গোনে অসংখ্য জেলেকে জিম্মি করে মাথাপিছু ২০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছে। এমনকি মুক্তিপণের টাকা দিতে বিলম্বের কারনে জিম্মি জেলেদের গভীর বনের মধ্যে আটকে বেপরোয়া শাররীক নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।
দ্রæত সময়ের মধ্যে পুনরায় দস্যু তৎপরতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে নির্ভরশীল জেলেদের সুন্দরবনে যাতায়াত নির্বিঘœ করতে তারা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধন শেষে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে নিরুপায় জেলে পরিবারের সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনী খাতুনের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, র্যাব প্রধানসহ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনী খাতুন বলেন, সম্প্রতি বনবিভাগের সহায়তায় বনদস্যুদের কবল থেকে জিম্মি ১০ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট স্মারকলিপি পৌছে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি আলোচনার পর ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। #