ইন্টারনেট সার্চে নিজেদের পণ্যের একচেটিয়া বাজার তৈরির দায়ে বড় অঙ্কের জরিমানার মুখোমুখি হলো টেক জায়ান্ট গুগল। অনলাইন শপিং সেবায় অতিরিক্ত সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ এনে মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ২১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (২৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইইউয়ের অভিযোগে বলা হয়, অনলাইন শপিং সেবায় নিজেদের পণ্য সার্চ ইঞ্জিনে এগিয়ে রাখে গুগল। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাজারে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রতারিত হচ্ছে ভোক্তারা। গুগলের এই কর্মকাণ্ডে ভঙ্গ হয়েছে ইইউয়ের বাজার প্রতিযোগিতা আইন।
এ বিষয়ে ইইউয়ের মুখপাত্র মারগ্রেথ ভেস্তাজের বলেন, নিজেদের সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে নিজেদের পণ্য এগিয়ে ও প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য পিছিয়ে রেখে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে গুগল। এই স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে প্রতিষ্ঠানটিকে সময় দেওয়া হয়েছে ৯০ দিন। এরপরও আইন ভাঙলে জরিমানার পরিমাণ আরো বাড়বে।
গুগলের এই কর্মকাণ্ড অনুসন্ধানে ২০১০ সালে মাঠে নামে ইইউয়ের তদন্তকারী দল। যুক্তরাষ্ট্রের টেকনোলজি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ইউরোপে একক অধিপত্যের চেষ্টা করছে, রাজনীতিবিদদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয় তদন্ত।
পরে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে গুগলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযোগ আগে ইইউ। তবে বার বারই তাদের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে গুগলের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আপনি যখন অনলাইনে কেনাকাটা করবেন, আপনার পছন্দের পণ্যটি সহজে ও তাড়াতাড়ি খুঁজে বের করতে চাইবেন। ওই পণ্যগুলোকেই গুগল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার করে। এ কারণেই গুগল পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়। ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সব বিজ্ঞাপনদাতাকে যুক্ত করার জন্য।’
মুখপাত্র আরো বলেন, ‘গুগলের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে আমরা মোটেও একমত নই। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করব।’
এদিকে, কোনো প্রতিষ্ঠানকে এই প্রথম এত বড় অঙ্কের অর্থ জরিমানা করল ইইউ। এর আগে ২০০৯ সালে আরেক টেকনোলোজি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ইনটেলকে জরিমানা করে সংস্থাটি।