ফিচার

দেশকে ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দেওয়ার সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে: হামিদুর রহমান আযাদ

By daily satkhira

January 25, 2025

নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশকে ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দেওয়ার সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি বলেন, দেশে আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

তাই আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, আমরা যদি অতীত ইতিহাসকে না ভুলি, স্মরণ রাখতে পারি তাহলে ইনশাআল্লাহ কোনো ষড়যন্ত্র এ দেশে কার্যকর হতে পারবে না। পৃথিবীর ইতিহাসে যারা অতীত ভুলেছে, ইতিহাস ভুলেছে তাদের ওপর ফ্যাসিবাদ পুনরায় ফিরে এসেছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারী) বিকাল ৪টায় মুন্সিপাড়াস্থ আল—আমিন ট্রাস্টের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে বার্ষিক পরিকল্পনা ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় ওরিয়েন্টেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, জেলা নায়েবে আমীর শেখ নুরুল হুদা, ডা. মাহমুদুল হক, সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক গাজী সুজাআত আলি, প্রফেসর ওবায়দুল্লাহ, প্রফেসর ওমর ফারুক, মাওলানা ওসমান গণি, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুস সুবহান মুকুল, অফিস সেক্রেটারি রুহুল আমিন, শহর আমির জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতার গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ের ফলাফলের কথা ভুলি নাই। রক্তের দাগ এখনো শুকাই নাই। মা—বোনদের আত্মচিৎকার থামে নাই। আমাদের শহীদদের কবরের মাটি শুকাই নাই। আহতদের হাসপাতালে কাতরানো বন্ধ হয়নি। আমরাও ফ্যাসিবাদের ইতিহাস ভুলি নাই। সুতরাং এদেশে আবারও ফ্যাসিবাদ আসবে যারা আশা করেন তারা স্বপ্ন দেখছেন। বাংলাদেশের মানুষ সবসময় সজাগ ও সচেতন। ফ্যাসিবাদ থেকে জাতি মুক্ত হয়েছে। নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। এই যাত্রাই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।

এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ আরো বলেন, ‘আমরা বিজয়ের প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছি অভ্যুথানের মধ্য দিয়ে; কিন্তু চূড়ান্ত বিজয় আমাদের আসেনি। যেদিন দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। দেশে গণতান্ত্রিক সরকার কায়েম হবে। জনগণের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচিত সরকার কায়েম হবে। সর্বোপরি এতে দেশ বৈষম্যমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত হবে এবং ন্যায়বিচার কায়েম হবে। যদি সামাজিক ন্যায়বিচার না আসে তাহলে মানুষের মর্যাদা, সমতা কোনোটাই ফিরে আসবে না। সে জন্যই আমাদের সংস্কার করতে হবে।’