নিজস্ব প্রতিনিধি : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, ছাত্র জনতার অভ্যূত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। এমপিরা পালিয়েছে। মেয়ররা পালিয়েছে। ১৯৭১ সালে পালিয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমান। আর একবার পালিয়েছিল ১৯৭৫ সালে যখন সেনা অভ্যুত্থানে শেখ মুজিব মারা যায়। আওয়ামীলীগের সব নেতারা পালিয়েছিলো। সে সময় তার জানাজা পড়ার লোক ছিলো না। এই হচ্ছে আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগ এদেশের গণতান্ত্রিক শক্তি নয়, আওয়ামীলীগ পলাতক শক্তি। ২৫ ফেব্রæয়ারি বিকাল ৫টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
গত ১৬ বছর ধরে তারা ইতিহাস বিকৃত করেছে। তারা রাষ্ট্র সম্পদ লুট করেছে। বাংলাদেশের সমস্ত ব্যাংকগুলোকে লুটপাট করেছে। শেখ হাসিনার বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফ্যাসিবাদে পরিণত করেছে। সাতক্ষীরাসহ সারাদেশে বিচার বর্হিভ‚ত হত্যাকাÐ ঘটিয়েছে আওয়ামীলীগ ও তার দোসররা। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সকল হত্যাকান্ডের বিচার সম্পন্ন করবে। হত্যার বদলা নেবে।
তিনি আরো বলেন, আসুন আগামী জাতীয় নির্বাচন যত দ্রæত সম্ভব সম্পন্ন করুন। আপনাদের সকল কাছে আমাদের সমর্থন আছে। আমরা বিরোধ চায় না। প্রয়োজনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করুন। কারন ফ্যাসিবাদীরা এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদের রুখে দিতে হবে।
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিসহ পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্ত মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জনদাবীতে অনুষ্ঠিত সমাবেশ সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু’র সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি’র সদস্য ডা. শহিদুল আলম, জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেলা বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবি, তারিকুল হাসান, আব্দুল আলীম, মৃনাল কান্তি রায়, আবুল হাসান হাদী, তাসকীন আহমেদ চিশতি, ড. মনিরুজ্জামান, আক্তারুল ইসলাম, ডা. শহিদুর রহমান, কামরুজ্জামান ভুট্ট প্রমূখ।