ফিচার

কালীগঞ্জে ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নারী সংগঠন মানববন্ধন

By daily satkhira

March 12, 2025

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে দেশব্যাপী সাম্প্রতিক ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কয়েকটি নারী সংগঠন মানববন্ধন করেছে। প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংস্থা আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের সামনের সড়কে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংস্থা ছাড়াও মিশন মহিলা নারী উন্নয়ন সংস্থা ও জনকল্যাণ নারী উন্নয়ন সংস্থা এ মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধন চলাকালে প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি ইলাদেবী মল্লিকের সভাপতিত্বে ও কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন, প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি,কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল বারী, কালীগঞ্জ উপজেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কালীগঞ্জ ছাত্রদলের সদস্য সচিব শেখ মারভেজ, ছাত্র সমন্বয়ক প্রতিনিধি মারুফ হোসেন, মিশন মহিলা নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সকিনা খাতুন, জনকল্যাণ মহিলা সংস্থার প্রতিনিধি শহিদা খাতুন ও প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়কারী দীপিকা অধিকারী।

বক্তারা বলেন, সারাদেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের পাশাপাশি খুন, হত্যা, নারী নির্যাতনের ঘটনা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন দেশের একাধিক স্থানে নারী ও শিশু ধর্ষণের পাশাপাশি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। একইভাবে স্ত্রীর সামনে প্রকাশে স্বামী খুন, পবিত্র স্থান মসজিদের মধ্যে ঢুকে খুন করা হচ্ছে। এ অবস্থা দিনকে দিন বেড়েই চলছে। পোশাকের ফতোয়া দিয়ে নারীদের গৃহবন্দী করার চেষ্টা চলছে। এসবের পর অন্তবর্তী সরকারের তেমন কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ভূমিকাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

বক্তারা বলেন, মহামারি আকারে যে নারী ও শিশু ধর্ষণের পাশাপাশি যে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে না পারলে নারীরা কোথাও নিরাপদ থাকবে না। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন নারী নির্যাতনের মামালা ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ ও ৯০ দিনের মধ্যে বিচার কার্য সম্পন্ন করতে হবে। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে ৯০ দিন নয়, এক মাসের মধ্যে ধর্ষকের শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন না করতে পারলে এ পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। একইভাবে যারা ফতোয়া দিয়ে নারীদের স্বাধীনতাহরণ করতে যায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।