ফিচার

সাতক্ষীরায় ছাত্রদলকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ পদে অর্ঘ্য কে দেখতে চায় তৃণমূলের কর্মীরা

By daily satkhira

March 19, 2025

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সংগঠনের একনিষ্ঠ, ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতা জে এম দুদায়েভ মাসুদ খান অর্ঘ্য। ছাত্রদলের রাজনীতিতে সুদীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন তিনি।

ছাত্রদলের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া অর্ঘ্য দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি দলের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করেছেন। সাংগঠনিক দক্ষতা ও নিরলস পরিশ্রমের কারণে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত অর্ঘ্য’র পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

একজন সক্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে বারবার প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন অর্ঘ্য। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন কয়েকবার। সর্বশেষ পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। উক্ত সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এই কমিটির আহবায়ক ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান হবি এবং সদস্য সচিব জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বাবু। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারণে ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও তাকে ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতার মামলায় কারাগারে পাঠানো হয় যা এখনো চলমান।

অর্ঘ্য’র রাজনৈতিক জীবন শুধু সংগ্রামের নয়, চরম ত্যাগেরও। তার পিতা খান এ মির্জা মাসুদ জুয়েল ছিলেন ৯০ এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা। তৎকালীন তুখোর ছাত্রদলের রাজনীতি করার কারণে দেশ ব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন। জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অন্যতম সাহসী কান্ডারী হিসেবে সকলের কাছে প্রিয় ছিলেন। তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তাকে নির্মমভাবে ২০০৬ সালে খুন করা হয়। বাবার এই আত্মত্যাগ থেকেই অর্ঘ্য ছাত্রদলের আদর্শ ও সংগ্রামের পথ বেছে নেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তার বাবার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন ও রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়ন করাই তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য।

অর্ঘ্য’র পরিবার দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তার পিতা খান এ মির্জা মাসুদ জুয়েল ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী (সাতক্ষীরা-১, উপনির্বাচন ২০০০ ইং) এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও সাতক্ষীরা জেলা কৃষক ও মৎস্যজীবী দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। নিজে বড় ভূমিকা রেখে সাতক্ষীরা জেলা কৃষকদল ও মৎস্যজীবী দলকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়াও তিনি সাতক্ষীরা-১ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

তার মাতা সাবিনা মাসুদ বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং একজন সমাজসেবিকা হিসেবে সুপরিচিত। পিতামহ খান মুক্তার আলী দীর্ঘদিন যাবত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯৫ দলে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন তিনি।পারিবারিকভাবে দীর্ঘ রাজনৈতিক ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী অর্ঘ্য ছাত্রদলের আদর্শ ও চেতনাকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছেন।

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করতে সাধারণ সম্পাদক বা সদস্য সচিব পদে প্রার্থী হতে চান অর্ঘ্য। দক্ষ নেতৃত্ব, সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা ও দলের জন্য তার অবদান বিবেচনায়, তিনি এ পদে এগিয়ে রয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের প্রতিটি ইউনিটকে আরও সুসংগঠিত করা, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন অর্ঘ্য। দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই নেতা ছাত্রদলকে শক্তিশালী করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।