দুই দিনের মাথায় আবারও ভূমধ্যসাগর থেকে বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূল থেকে প্রায় পাঁচ হাজার শরণার্থীকে উদ্ধার করে ইতালির নৌবাহিনী। পরে উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হন রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। এ সময় অন্তত ২৪ জনের লাশ পাওয়া গেছে। এর আগে রবিবার লিবিয়ার উপকূল থেকে ৭১২ শরণার্থীকে উদ্ধার করে আয়ারল্যান্ডের নৌবাহিনী।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলীর শহরতলী এলাকার উপকূলের কাছ থেকে এসব শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তারা জানান, হতভাগ্য শরণার্থীদের লাশগুলো সোমবার থেকে উপকূলে ভেসে আসতে শুরু করে। কুকুরের পেটে গেছে কয়েকটি লাশের কিছু অংশ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ছোট নৌকায় করে ভাগ্যবিড়ম্বিত ইউরোপমুখী এ শরণার্থীদের পরিবহন করা হচ্ছিল। একটি জার্মান সাহায্য সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার রাতে ভূমধ্যসাগরে ইতালীয় বাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান চলাকালে তিন শরণার্থীর মৃত্যু হয়।
ইতালীয় কোস্টগার্ডের মুখপাত্র জানান, জরুরি সেবা সংস্থা, ইতালির নৌবাহিনী ও সাহায্য সংস্থাগুলোর প্রচেষ্টায় এবং ব্যক্তিগত নৌকায় করে সোমবার প্রায় পাঁচ হাজার শরণার্থী লিবিয়ার উপকূলে পৌঁছাতে সক্ষম হন।
এর আগে চলতি মাসের গোড়ার দিকে ভূমধ্যসাগরে ১২৬ জন শরণার্থীবাহী একটি নৌকাডুবি সমুদ্রের পানিতে নিমজ্জিত হয়। জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, নৌকাটির ইঞ্জিন চুরি হওয়ার কারণেই এটি সাগরে ডুবে যায়।
২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে তুরস্কের উপকূলে সন্ধান মেলে আয়লান নামের এক সিরীয় শিশুর মৃতদেহ। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে নিথর পড়ে থাকা শিশু আয়লান কুর্দির নাম শুনলে এখনও স্তব্ধ হয়ে যান অনেকে। ছোট নৌকায় থাকা আয়লান ও তার ভাই ভেসে যায় তুরস্কের সৈকতে। তাদের মা ভেসে যান দূরের অন্য এক সৈকতে। এখনও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সপরিবারে সাগরে ভাসছেন হাজার হাজার আয়লান কুর্দি। এই শরণার্থীদের সলিল সমাধি যেন থামছেই না। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।