শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর পৌরসভার নকিপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামনগর থানা পুলিশ গত ২০ এপ্রিল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময নকিপুর গ্রামের ছাবের মিস্তির বাড়ির পুকুর থেকে বস্তার মধ্যে রাখা ৩৪পিচ কাঠের বাট সহ মরিচা ধরা ২ ফুট লম্বা হাসুয়া উদ্ধার করেছে।
সাবের মিস্ত্রি কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কর্মচারী। সাবেক সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার এর সময় সাবের মিস্ত্রি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে।
তার শশুর বাংলাদেশ আওয়ামী বাস্তহারা আলীগের উপজেলা শাখার সভাপতি গাজী মোরছেদ আলী ও শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি রহমত আলী তার শালা, তাদের সংঘবদ্ধ দল নিয়ে রাতের আঁধারে ও প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্র পরিদর্শন করে শ্যামনগর সদরে ডাক্তার আনিসুর রহমানের উপরে হামলা, ও নগর প্রাইভেট হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুর , শ্যামনগর সদর হাসপাতালে ইমারজেন্সিতে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
থানা মসজিদ মাদ্রাসার ইমাম মাওলানা জোবায়ের হোসেন জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরী, একই এলায় গভীর রাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারধর করে সুজা মাহমুদ জায়গা দখল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক জায়গাও দখল সহ শ্যামনগর সদর ও পদ্মপুকুরে হিন্দুদের জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে। এই পরিত্যক্ত পুকুর থেকে ছাবের মিস্তি ও তার শালক তৎকালিন শেখ রাছেল শিশু কিশোর পরিষদ এর সভাপতি রহমত উক্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গা দখল করছিল। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির মোল্লা ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন পরিত্যক্ত অবস্থায় হাসুয়া উদ্ধার হয়েছে, এ বিষয তথ্য অনুসন্ধান চলছে পাইলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক গাজী জানান, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দারের সময় আমার জায়গা দখল করে, এ ঘটনায় আমি একটি মামলা করি, সেই মামলায় রহমত আলী সাজাপ্রাপ্ত আসাম।
শ্যামনগরে এক ক্লিনিক কর্মকর্তা জানান, আমাদের হাসপাতালে হামলার ও ভাঙচুরের মামলায় তারা এজাহার ও অরেন্ট ভুক্ত আসামি।
সরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত একজন জানান আমার ডিউটি চলাকালীন সময় এই সকল লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইমারজেন্সিতে চিকিৎসা নিতে আস রোগীদের উপরে হামলা চালায়। যার ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও সে সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
স্থানীয় কয়েকজন শ্যামনগর থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শুধু পুকুর নয় সাবের মিস্ত্রির বাড়ির ভিতর রহমতের ঘর ও মোকছেদের পরিত্যক্ত ঘরে অভিযান চালালে এ ধরনের আরো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা যেত। এই সকল অস্ত্রের ঝন ঝানানি দেখিয়ে শ্যামনগরের বিভিন্ন অঞ্চলে জগলু হায়দারের নাম ভাঙ্গিয়ে ভূমিহীন এর প্রভাব ও ভয় দেখিয়ে হিন্দু মুসলিম অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে জায়গা দখল ও অর্থ আদায় করেছে।
এই পরিবারের সদস্যরা এমনকি মসজিদের জায়গাও ছাড় দেয়নি, যার কারণে স্থানীয় একটি গজী পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় হামলা, মামলা, জায়গা দখ অব্যাহত রেখেছিল।
গত ৪ এপ্রিল ডেভিল হান্ডে আটক সাবের মিস্ত্রির ছেলে মোঃ সামিউল ইসলাম মুন্না কে আটক করে শ্যামনগর থানা পুলিশ। বিগত কয়েক বছর আগে এই মুন্নাকে সেরে রেখে সারচ্ছু গাজী ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অপহরণের মিথ্যা মামলা করেন বলেন এলাকাবাসী এবং তাদের আইনের আওতায়নে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানন।