নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রেমের প্রস্তারে রাজী না হওয়ায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সানজিদা আক্তার তুলির (১৭) আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামের আব্দুর রহমান মোড়লের ছেলে মৃতের বাবা কামরুল ইসলাম মোড়ল বাদি হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে বৃহষ্পতিবার রাতে তালা থানায় একটি মামলা দায়ের করছেন। মামলায় ঘোনা জামে মসজিদের ইমাম মো. আমিনুর রহমানকে (২৫)বৃহষ্পতিবার রাতে পাটকেলঘাটা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আমিনুর রহমান খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মো. রবিউল ইসলাম গাজীর ছেলে। মামলার বিবরনে জানা যায়, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের আমিনুর রহমান কয়েক বছর যাবৎ সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোনা জামে মসজিদের পেশ ইমাম হিসেবে কাজ করতেন। সম্প্রতি মসজিদের পাশর্^বর্তী কলেজ ছাত্রী সানজিদা আক্তার তুলির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ওঠে। তুলি তাকে প্রস্তাব দেয় বিয়ের। একপর্যায়ে প্রস্তাব প্রত্যাখান করে মসজিদের দায়িত্ব ছেড়ে চলে যায়। এ ঘটনায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তুলি। একপর্যায়ে সে বাড়িতে কেউ না থাকার সূযোগে বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উঠানের এক কোনে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তুলির মৃত্যু হয়।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোঃ শাহীনুর রহমান জানান, সাতক্ষীরা সদর হাসাপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে তুলির লাশ শুক্রবার বিকেলে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তুলিকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার বাবা ভ্যানচালক কামরুল ইসলাম মোড়ল বাদি হয়ে পেশ ইমাম আমিনুর রহমানের নাম উল্লেখ করে পেনাল কোডের ৩০৬ ধারায় বৃহষ্পতিবার রাতে থানায় একটি মামলা (জিআর-৬৪/২৫ তালা)দায়ের করেছেন। আমিনুর রহমানকে বৃহষ্পতিবার রাতে পাটকেলঘাটা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তালা থানার উপপরিদর্শক মোঃ খলিলুর রহমান আসামী আমিনুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমাÐ আবেদন জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরার তালা আদালতের সরকারি নথি সংরক্ষণ কর্মকর্তা পুলিশের সহকারি উপপরিদর্শক আকিদুল ইসলাম জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক মাসুমা আক্তার আসামী আমিনুর রহমানকে শুক্রবার বিকেলে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আমিনুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোন রিমাÐ আবেদন পাননি তিনি।