নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২৩ জন ব্যক্তিকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিএসএফ। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় তাদেরকে পুশইন করা হয়। পুশইন করা ব্যক্তিরা সকলেই বাংলাদেশী‘‘।
তারা কুড়িগ্রাম ও ঝালকাঠি জেলার বাসিন্দা। ১০ থেকে ১২ বছর পূর্বে কাজে খোজে ভারতে যান তারা। পরে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের রৌতক জেলায় বাসবাস করে আসছিলেন।
গত কয়েকদিন ধরে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের রৌতক জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের কে আটক বিএসএফ। পরে সীমান্তে এনে মঙ্গলবার ভোররাতে তাদের বাংলাদেশ সীমান্তের কুশখালী এলাকায় পুশইন করে। বিজিব তাদেরকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। আটকৃকতারা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের মৃত খোকার পুত্র জাবেদ হোসেন, জাবেদ আলীর স্ত্রী শিউলী বেগম, জাবেদের পুত্র সুমন হোসেন,নুর আলী ও সজীব, সুমন মিয়ার স্ত্রী খুশি বেগম, নুর আলমের স্ত্রী সম্পা খাতুন, একই জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আঙারিয়া গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের পুত্র মোশাররফ হোসেন, মোশারফ হোসেন স্ত্রী লাইলি বেগম, মোশাররফের কন্যা মোর্শেদা খাতুন ও মিম খাতুন,মোশাররফের পুত্র লুৎফর রহমান লাবিব, একই জেলার মোক্তারকুটি গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিকের আব্দুল মান্নাফ, আব্দুল মান্নাফের স্ত্রী আনজুয়ারা, কন্যা সুমাইয়া খাতুন, পুত্র আব্দুল্লাহ, বড়ভিটা গ্রামের মমিন আলীর পুত্র মজিবর রহমান, মজিবর রহমানের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম, চন্দ্রখানা গ্রামের তাজুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না বেগম, তাজুল ইসলামের কন্যা শাফিরানা, দুলালী ও পুত্র শাকিল এবং ঝালকাঠি জেলার দারকী গ্রামের আব্দুল গফফারের পুত্র আব্দুল কাইয়ুম।
সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক বলেন, বিজিবি ২৩ জন ব্যক্তিকে সদর থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের মধ্যে নারী ৭ জন,পুরুষ ৭ জন ও ৯শিশু রয়েছে। তাদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।