নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ জমকালো আয়োজনে সাতক্ষীরায় ৭১ টেলিভিশনের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
এ সময় তিনি বলেন, ৫ আগস্ট হবে একাত্তর, এটা ভুলে যেতে হবে। কেউ কেউ চেয়েছিল ২৪ এর আন্দোলনকে একাত্তরের সাথে তুলনা করতে। কিন্তু সেটি কি সম্ভব ? আমরা কি একাত্তরকে ভুলতে পারি ? ৩০ লক্ষ শহীদের আতœত্যাগ, আতœবলিয়ান ও আতœশুদ্ধির মধ্য দিয়ে যারা দেশকে স্বাধীন করেছিল তাদেরকে আমরা ভুলতে পারি না। বহু মানুষের রক্তে অর্জিত আজকের এই বাংলাদেশ।
একাত্তর আমাদের প্রেরনা, একাত্তর আমাদের চেতনা। আর এই বাংলাদেশকে আমাদের সকলে মিলে রক্ষা করতে হবে। তবে ২৪ যেটা করেছে সেটা একটি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে একদিন নয়, এক মাস নয়, একটা ধারাবাহিকভাবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার হাত থেকে মুক্ত করেছে। আর এ আন্দোলনে প্রায় ১৪’শ ছাত্র জনতা তাদের প্রাণ দিয়েছে।
অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে। আমরা তাদের ভুলতে পারিনা। তাদের আতœত্যাগের বিনিময়ে আজ বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। এর আগে ৯০ এর গণআন্দোলনের মাধ্যমেও আমরা দেশকে স্বৈারাচার এরশাদ মুক্ত করেছিলাম। সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশ্য তিনি বলেন, আপনারা অভয়ে, নির্ভয়ে সঠিক কথা লিখবেন। তিনি এসময় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবসহ সকল দখলদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, দেশ একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। একই সাথে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবেও একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আমি আশা করি। এজন্য আমার তরফ থেকে যা যা করার দারকার আমি তাই করবো। তিনি আরো বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে আমাকে ৭০ বছরের সাজা দেয়া হয়েছিল। মিথ্যা মামলার এই সাজা মাথায় নিয়ে আমি দীর্ঘদিন জেলেও ছিলাম। আমি অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনি। যেহেতু আমি এত বড় সাজার পরেও আপনাদের মাঝে বেঁচে এসেছি, ফিরে এসছি। তাই আমার শেষ জীবন পর্যন্ত আমি জনকল্যাণে আপনাদের সাথে এবং বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের সাথে থাকতে চাই। এ সময় তিনি ৭১ টেলিভিশনের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, মহিলা বিষয়ক অধিদফতর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুন নাহার, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি ও বাংলাদেশ বেতারের প্রতিনিধি আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাংলাভিশন টিভি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক সভাপতি ও সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপী, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, আর টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তি, যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আকরামুল ইসলাম, এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি আহসানুর রহমান রাজিব, সাতক্ষীরা সংবাদিক ক্লাবের সভাপতি ডাঃ মহিদার রহমান, বাংলা নিউজের প্রতিনিধি তানজির আহমেদ, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মশিউর রহমান ফিরোজ,এনটিভিরি এস এম জিন্নাহ, প্রমুখ। এসময় সেখানে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ৭১ টিভির সাতক্ষীরার জেলা প্রতিনিধি বরুণ ব্যানার্জী। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, ডিবিসি টিভির সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি এম. বেলাল হোসাইন।##
২১.০৬.২৫