অনলাইন ডেস্ক : রাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৃহস্পতিবারের আলোচনায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমা নিয়ে মত দেয় রাজনৈতিক দলগুলো।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রক্রিয়া ও বিচারব্যবস্থার সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। তারা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের আগে অপরাধের ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাব করেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতির ক্ষমা যেন আর নিরঙ্কুশ না থাকে বরং একটি বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে তা প্রদর্শিত হয়—এ প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি।”
অতীতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার অপব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরও ক্ষমা করা হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। এতে ন্যায়বিচার ক্ষুণ্ন হয়েছে, বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমেছে।” জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। কোন কোন অপরাধে ক্ষমা অযোগ্য হবে, সে ব্যাপারে আইনগত ব্যাখ্যা থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন আখতার হোসেন।
আলোচনায় দেশের বিচারব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে এনসিপি।
আখতার হোসেন বলেন, “২০ কোটি মানুষের দেশে হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগ মিলিয়ে কয়েক লাখ মামলা বিচারাধীন। মাত্র ১০০ জন বিচারপতি দিয়ে এই মামলাগুলো নিষ্পত্তি সম্ভব নয়।”
ঢাকার বাইরেও হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর সময় ছয়টি জায়গায় হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠনের উদ্যোগে বাধা এসেছিল। একে ইউনিটারি স্টেট কাঠামোর ব্যত্যয় বলা হয়েছিল। কিন্তু এবার এমনভাবে আইন করতে হবে যাতে সেটি সাংবিধানিক বাধা এড়িয়ে বাস্তবায়ন করা যায়।”
“আমরা যে গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরে এই সংস্কার উদ্যোগে এসেছি, সেই জনগণের আকাঙ্ক্ষা আমাদের ধারণ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশনের একমত হওয়া সিদ্ধান্তগুলো যেন বাস্তবায়ন হয়, সেটিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ”, বলেন এনসিপি নেতা।