ফিচার

সাতক্ষীরায় মেয়াদ উত্তীর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু

By daily satkhira

July 20, 2025

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সড়ক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাতক্ষীরায় ২০ বছরের অধিক পুরাতন বাস-মিনিবাস এবং ২৫ বছরের অধিক পুরাতন ট্রাক-কভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এই অভিযানটি সারা দেশের অংশ হিসেবে রবিবার (২০ জুলাই ‘২৫) থেকে শুরু হয়।

বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেল-এর উদ্যোগে পরিচালিত এই অভিযানে, পুরাতন যানবাহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করার লক্ষ্যে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই ‘২৫) সাতক্ষীরা শহরের লস্কর পেট্রোল পাম্পের সামনে বিশেষ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এই সময়ে, ২০ বছরের পুরাতন দুটি মিনিবাস আটক করা হয় এবং ৫টি মামলার বিপরীতে ১,৮৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

উক্ত বিশেষ মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম সুগন্ধা এবং বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কে এম মাহবুব কবির। এছাড়াও সহকারী মোটরযান পরিদর্শক মোঃ ওবায়দুর রহমান এবং সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সও উপস্থিত ছিলেন।

বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কে এম মাহবুব কবির জানান, এই বিশেষ অভিযানটি বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ ও খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি:) মোঃ জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায় পরিচালিত হচ্ছে। সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদের তত্ত্বাবধানে এ অভিযান চলমান থাকবে।

তিনি আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ এবং সড়ক ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং এটি ধারাবাহিকভাবে চলবে। সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সাতক্ষীরার এই অভিযানটি সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এতে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং জনগণের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই উদ্যোগটি শুধু সাতক্ষীরায় নয়, সারা দেশেই সড়ক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।

এই বিশেষ অভিযানের ফলে সাতক্ষীরার সড়কগুলোতে যান চলাচল আরও নিরাপদ হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশাবাদী।