নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগরে বাস্তহারা ৪৩টি ভ‚মিহীন পরিবারের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিকারের দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ স্মারক লিপি প্রদান করা হয় এসময় ভ‚মিহীণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে,বিগত ১৯৭৭ সালে শ্যামনগর মৌজায় এস এ খতিয়ান নং- নামজারী খতিয়ান নং- ১/১১৫, ১/২২, ১/২০, ৭৫৬,৭৫২, ৭৫৯, ৭৮১ ও ৭৫৭ দাগে মোট ৪ একর ৬ শতক সম্পত্তি সরকার বাহাদুরের কাছে ভ‚মিহীনদের নামে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত গ্রহন দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। সেখানে উপজেলার অসহায় ভ‚মিহীন ৪৩টি পরিবার ঘরবাড়ি নির্মান করে মাথাগোজায় ঠাঁই পেয়েছে। অথচ কথিত চাঁদাবাজরা ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনার পালায়নের পর ওই ভ‚মিহীন পল্লীতে হামলা করে। সে সময় তারা ৪৩টি অসহায় ভ‚মিহীন পরিবারে অগ্নিসংযোগ করে বাড়িঘর জ¦ালিয়ে দেয় এবং লুটপাট করে। কিন্তু আমরাও চেয়েছিলাম শেখ হাসিনার পতন। কারন আওয়ামীলীগের সময় ভ‚মিহীদের এবং ভ‚মিহীন নেতা মোকছেদ আলীর বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। যে কারনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পলায়নের পর ভ‚মিহীন পল্লীতে আনন্দ শুরু হলেও কিছুক্ষন পর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়ে ভ‚মিহীনরা। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা বাস্তহারা ভ‚মিহীন সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মোকছেদ আলী বিগত ৩৫-৩৬ বছর ধরে অসহায় বাস্তুহারী মানুষের নিয়ে গঠিত নির্দলীয় সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। বিভিন্ন সরকারের আমলে সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় সাতক্ষীরা জেলার কয়েক হাজার বিঘা সরকারি সম্পত্তি কৃষক, বাস্তহারা ভ‚মিহীনদের ঘর বাড়ি নির্মান কের প্রায় লক্ষাধিক পরিবারকে বসবাসের উপযোগি করে দিয়েছেন তিনি।
অথচ ভ‚মিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করে ভুমিহীনদের মধ্যে দেওয়ায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয় ওইসব ভ‚মিদস্যুরা। তিনি কখনো কোন দল করিনি। আওয়ামীলীগের সাথেও তার কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। আওয়ামীলীগের সময়ে তার দোকানপাট, ভ‚মিহীন অফিস, প্রতিবন্ধী অফিস, অন্যান্য ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছে আওয়ামীলীগের ক্যাডাররা। তাদের চক্রান্তে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। আমরা ওই চক্রান্তকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং ভ‚মিহীন পল্লীতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। ##