দেবহাটা প্রতিনিধ : দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা প্রার্থী হওয়ার প্রতিবাদে অপর প্রার্থী সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনটি করেছেন উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও উক্ত ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারন সম্পাদক প্রার্থী নাংলা গ্রামের মৃত নুরুদ্দীন গাজীর ছেলে জাকির হোসেন। দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে শুক্রবার ১আগষ্ট রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর উক্ত ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে শুক্রবার ১আগষ্ট গিয়ে দেখেন তার প্রতিপক্ষ হিসেবে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন।
তিনি তাৎক্ষণিক উক্ত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের অনুমোদিত স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটির প্রমানপত্রসহ বিএনপির টিম লিডারসহ সংশ্লিষ্ট বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে উপস্থাপন করেন। কিন্তু টিম লিডার প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তার সেই আবেদন খারিজ করে সাইফুলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেয়। একজন আওয়ামীলীগ নেতার বিপক্ষে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের পরিপহ্নী এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নীতি আদর্শ ও নির্দেশনার পরিপহ্নী হওয়ায় তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং ভোট বর্জন করেন। জাকির হোসেন বলেন, তিনি দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপি করার কারনে তিনি আওয়ামীলীগের রোশানলের শিকার হয়ে ৮টি মিথ্যা ও গায়েবী মামলার আসামী কয়েকবার জেল খাটেন। এমনকি ২০২৪ সালের ৫আগষ্ট স্বৈরাচার পতনের দিনেও তিনি মিথ্যা মামলায় জেলহাজতে ছিলেন।
৫ আগষ্টের পরে তিনি আদালত কর্তৃক মুক্ত হন। এতো ত্যাগ ম্বীকারের পরেও এধরনের কাজ করা বিএনপি নেতৃবৃন্দের কোন ধরনের আচরন ও কোন নীতির মধ্যে পড়ে এ প্রশ্ন করেন জাকির হোসেন। জাকির হোসেন বিষয়টি জেলা বিএনপি, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন করেছেন।