ফিচার

অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও সোনা-রুপা চোরাচালানে বাধা দেওয়ায় পৌর ছাত্রদলের আহবায়কের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ

By daily satkhira

August 07, 2025

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও সোনা-রুপা চোরাচালানে বাধা দেওয়ায় পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক রাসেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন কলারোয়ার তুলশীডাঙ্গা গ্রামের আমিরুল ইসলামের পুত্র রাসেল আহমেদ। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, কলারোয়ার পিছলাপো এলাকার শেখ রেজাউল ইসলামের ছেলে কামাল শেখকে ২ জুলাই, ২০২৫ একজন নারীর সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় এলাকাবাসী থেকে ধরে ফেলে।

এই খবর পেয়ে আমি সেখানে যান। তখন কামালের কাছে একাধিক সন্দেহজনক মোবাইল ফোন দেখতে পেয়ে তিনি তা পরীক্ষা করেন এবং সোনা পাচারের বিষয়ে কথোপকথনের প্রমাণ পান। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে আমি তার ফোন চেক করে সোনা পাচারের তথ্য পাই এবং বিষয়টি পুলিশকে জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এসময় উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল খান এবং কলারোয়া সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুলের সাথে ফোনে কথা বলাই দিয়ে বলে ভাইয়া ও আমাদের লোক ও ছেড়ে দাও পিলিজ আমি তোমার বড় ভাই হিসাবে অনুরোধ করছি। তাদের অনুরোধ সে সময় ছেড়ে দিলেও এখন উল্টো আমার নামেই মারপিট, হত্যাচেষ্টা ও চুরির অভিযোগ এনে মামলা ঠুকে দেন।” অথচ ওই কামাল শেখ বিগত ফ্যাস্টিট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে অবৈধ সোনা ও রুপা চোরাচালানসহ এলাকায় বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িত ছিলো। চোরাচালানের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং প্রতিশোধ নিতে কামাল শেখ এই হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি আরো বলেন, ২০১০ সাল থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু করে বর্তমানে কলারোয়া পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি কলারোয়া পৌর সদরের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, পরে আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। এ দীর্ঘ সময়ে আমার বিরুদ্ধে আওয়ামী ফ্যাস্টিট সরকার ১৩ মিথ্যা মামলা দিয়েছে, নির্যাতন করেছে, হয়রানি করেছে, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছে, তিন বার জেল খেটেছি। ৫ আগস্টের পরেও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হচ্ছে, হয়রানি হতে হচ্ছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এখন ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হচ্ছে। অথচ আমি এসএসসি পরীক্ষার সময় বিএনপির ডাকা আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হই। পরে কারাগারেই এসএসসি পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

এ বিষয়ে গরুর হাট তিন রাস্তার মোড়ে শিমুলের সাথে রাস্তায় হঠাৎ দেখা হলে আমার চাচাতো ভাই পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আলী হোসেন রাস্তার ওপাশ থেকে জিজ্ঞাসা করলে ভাইয়ের দিকে তেড়ে আসার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হন শিমুল। এঘটনায় আবারো মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে শিমুলের ব্যবসায়িক পার্টনার নূরুল। এছাড়া আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে নানা চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে ওই চোরাকারবারি কামাল শেখগং। কামাল শেখ প্রকাশ্যে বলে ৫০ কেজি সোনা বা রূপা নিয়ে ধরা পড়লেও আমাদের কেউ আটকে রাখতে পারবে না। তার মাথার উপর কি এমন অদৃশ্য শক্তি রয়েছে সেটি কলারোয়ার মানুষ জানতে চান। একজন চোরাকারবারি কিভাবে প্রকাশ্যে এমন কথা বলেও টিকে থাকতে পারে? এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ওইসব মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে এবং কামাল শেখ গংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক চোরাকারবারি ব্যবসা বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।