আন্তর্জাতিক

ক্ষমতায় গেলে ইরাকের সব তেল নিয়ে নেব : ট্রাম্প

By Daily Satkhira

September 22, 2016

ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে ইরাকের তেলসম্পদ নিজেদের করে নিবেন। পাশাপাশি ইসলামিক স্টেট (আইএস) অধিকৃত এলাকার তেলও নিজেদের করে নিবেন তিনি। জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সম্প্রতি এ ধারণা দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের মতে, এটা কেড়ে নেওয়া না, বরং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ব্যয়ের পরিবর্তে অর্জন। ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ান এ তথ্য দিয়েছে। চলতি মাসেই ট্রাম্প একটি অনুষ্ঠানে জানিয়ে দিয়েছেন ইরাক যুদ্ধের বিনিময়ে প্রাপ্তি হবে তেলসম্পদটা। তিনি বলেন, ‘আমরা গেলাম। খরচ করলাম তিন ট্রিলিয়ন ডলার। হারালাম হাজার হাজার জীবন আর এরপর… কী ঘটবে আমরা কিছু না পেলে। আপনারা জানেন, জয়ী হওয়া মানে প্রতিপক্ষকে সর্বস্বান্ত করে দেওয়া।’ ট্রাম্প বলেন, ‘আইএসের কাছ থেকে তেল কেড়ে নিলে সুবিধাটা হচ্ছে, এরা আর নিজেদের চালাতে পারবে না।’ আর ইরাকের ব্যাপারে ট্রাম্পের এক কথা, ‘আমি এভাবে ইরাকের তেল ফেলে রাখতে পারি না, তা চলে যাবে ইরানের কাছে।’ বেশ খোলাখুলিভাবেই নিজের মত ও পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিয়েছেন এ রিপাবলিকান। আর এ মতের কারণেই সমালোচনার তীর ছুটে যাচ্ছে ট্রাম্পের দিকে। নানা বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না। আন্তর্জাতিক বিষয় ও কৌশল বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি কোর্ডসম্যান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আপনি নাগরিকের সম্পদ নিজের আয়ত্বে আনতে পারেন না। আর এটা হলে তা যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তেল রপ্তানি করাই ইরাকের একমাত্র উপার্জনের উপায়। খরচ করতে হবে আরো অর্থ, সেনাবাহিনী রাখতে হবে, তৈরি করতে হবে ঘৃণার পরিবেশ, যা আগেও করা হয়েছিল। এটা হবে নব্য-উপনিবেশের সবচেয়ে বাজে ধরন। কাজটা ব্রিটেনও করেনি।’ ‘আ ডিক্লারেশন অব এনার্জি ইনডিপেনডেন্স’ বইয়ের লেখক জে হেকস মনে করেন, ট্রাম্পের এ নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র কেবল শত্রু সংখ্যাই বাড়াবে। তিনি বলেন, ‘ইরাকের তেলে হাত দেওয়া কেবল নতুন শত্রুই বাড়াবে।’ মধ্যপ্রাচ্যে সেনা ব্যয় কমানোর পরামর্শও দেন তিনি।