ফিচার

সাতক্ষীরায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বাড়িতে তুলে দিয়ে স্বামীকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ

By daily satkhira

August 20, 2025

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বাড়িতে তুলে দিয়ে স্বামীকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী কলারোয়া উপজেলার বলিয়ানপুর গ্রামের আবু সিদ্দিক দফাদারের পুত্র কামরুজ্জামান বাবলু।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে কাজের সন্ধানে মালেশিয়ায় আসা নারী ইয়ানতির সাথে সম্পর্কের জেরে ২০০৭ সালে বিবাহ হয়। আমাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। কিন্তু ওই নারীর সহিত আমার বনিবনা না হওয়ায় ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বেজিৎ তালাক প্রদান করি। তালাকের ১বছর ১০ মাস ১২ দিন পরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক অভিযোগে কলারোয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। (মামলা নং ৬৭৪/২৩)। উক্ত মামলায় আমি ১ মাস ১৫ দিন জেল হাজত খাটার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে মাহামান্য হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে ৩০ জুলাই ২০২৩ মালেশিয়া চলে যাই। সেখান থেকে গত ১৫ জুলাই ২০২৫ দেশে ফিরে আসি এবং বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, সাতক্ষীরাতে হাজির হয়ে জামিন লাভ করি। এরপর কলারোয়ায় নিজ বাড়ীতে অবস্থান করিতে থাকি।

আমার বাড়ি আসার খবর পেয়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আবারো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং কলারোয়া থানায় আমি তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি মর্মে লিখিত অভিযোগ করে। এর প্রেক্ষিতে কলারোয়া থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ২৬ জুলাই২০২৫ আমাকে থানায় ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এছাড়া বলেন তুই তোর বাড়ীতে থাকতে পারবিনা, ওই মহিলা থাকবে। তুই যদি বাড়ীতে যাস, তোর নামে ধর্ষন মামলা হবে। এরপর ও.সি সাহেব আমার এলাকায় কিছু বখাটে ছেলেদের ম্যানেজ করে আমার ৫ বছর আগের তালাকী স্ত্রীকে আমার বাড়ীতে তুলে দিয়ে আমাকে বাড়ী ছাড়া করে দিয়েছেন। আমি আমার নিজ নামীয় জমি এবং বাড়ী ফেলে আজ পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। ইয়ানতি আমার স্ত্রী থাকাবস্থায় ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই তারিখে আমাকে মৃত সাজিয়ে এবং নিজেকে বিধবা দেখিয়ে জনৈক রঞ্জু ইসলাম নামের এক যুবকের সাথে রেজিঃ বিবাহ করেন (নিকাহ নামা আছে)। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১লা জানুয়ারী রঞ্জুর সাথে তার তালাক হয় (তালাক নামা আছে)।

তিনি বলেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসাবে দেশে যেখানে আমার সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার কথা থাকলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ওসি সাহেবের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সাবেক স্ত্রীর দ্বারা বে-আইনিভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তিনি ওই তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর দেওয়া মিথ্যা মামলা অব্যাহতি এবং নিজের বাড়িতে ফিরতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ কাউকে তুলে দেয়নি। এটা ভূয়া কথা। ##