ফিচার

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কোপানোর অভিযোগ গণধিকার পরিষদের নেতা বিরুদ্ধে

By daily satkhira

September 07, 2025

ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার ওপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলার অভিযোগ উঠেছে জেলা গণধিকার পরিষদের নেতা হাসান ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহিনুর কবিরসহ তাঁর ছোট ভাই সাইফুল্লাহ ও ভাবি পারুল সুলতানা।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তৈলকুপি ভাঙ্গারিঘাট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত শাহিনুর সরুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। অভিযুক্ত হাসানুর রহমান হাসান জেলা গণধিকার পরিষদের সভাপতি প্রার্থী। তিনি পতিত আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাছের ঘের থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে জমি জায়গার বিরোধের পূর্বের জের ধরে তৈলকুপি ভাঙ্গারিঘাট এলাকায় শাহিনুর কবিরকে লোহার রড, হাতুড়ি, দা, জিআই পাইপ ও বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি হামলা করে। দোকানে আশ্রয় নিলে শাটার ভেঙে তাঁকে আবারও বেধড়ক মারধর করা হয়।

এ সময় ছোট ভাই সাইফুল্লাহ ও ভাবি পারুল সুলতানা ছুটে এলে তাঁদের ওপরও হামলা চালানো হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপে সাইফুল্লাহ গুরুতর জখম হন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে সেলাই দিতে হয়। পারুল সুলতানাকে পিটিয়ে জখম করার পাশাপাশি তাঁর গলার সোনার চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয় ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। হামলাকারীরা শাহিনুরের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

শাহিনুর অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের বিএনপির দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কারণে পতিত সরকারের সাবেক মন্ত্রী রুহুল হক এবং তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোষ সনৎ কুমারের প্রভাবে র‍্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সে সময় দীর্ঘদিন জেল খাটতে হয় তাঁকে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারি প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন হাসান।

এ ঘটনায় শাহিনুরের বাবা লিয়াকাত গাজী পাটকেলঘাটা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এতে হাসানসহ তাঁর ১০ সহযোগীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত হাসানুর রহমান হাসান বলেন, জমির কাগজ আমাদের রয়েছে, কিন্তু তারা জোর করে দখল করে রেখেছে। আইন হাতে তুলে মারধর করার মতো ঘটনা ঘটানো ঠিক হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে যান।

পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিনুর রহমান বলেন, ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।