স্বাস্থ্য ও জীবন : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে উচ্চ রক্তচাপের কারণে প্রায় ৭.৫ মিলিয়ান মানুষের মৃত্যু ঘটে, যেখানে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ বিলিয়ন। এই রোগের প্রসার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে যেখানে ৫০-এর পর এই ধরনের রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকতো, সেখানে আজকাল ৩০-৪৫ বছর বয়সিরাও উচ্চ রক্তচাপের মতে মরণ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে কমছে আয়ু, বাড়ছে মৃত্যুহার। যারা ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা কী করবেন। এক্ষেত্রে আধুনিক মেডিসিনের সাহায্য নিতে পারেন। কিন্তু চিকিৎসক যদি অনুমতি দেন, তাহলে এই প্রবন্ধে আলোচিত ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে একবার কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন, উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ কমাতে কতটা কার্যকরী এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি। উচ্চ রক্তচাপ হল সেই রোগ, যেখানে ধমনী দিয়ে স্বাভাবিকের থেকে বেশি গতিতে রক্ত প্রবাহ হতে থাকে। ফলে আর্টারির দেওয়ালে মারাত্মক চাপ পরে। আর এটা যদি দীর্ঘদিন ধরে হতে থাকে, তাহলে কিন্তু মারাত্মক বিপদ। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ একাধিক মরণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। অনেক কারণেই এই রোগ হতে পারে। তবে মূল কারণ হল জীবনযাত্রা। সেই সাথে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ঘরোয়া ওষুধটি তৈরি করতে যা যা প্রয়োজনঃ ১। খেজুর – ৩ টা। ২। গরম জল- ১ গ্লাস। এই ঘরোয়া ওষুধটি প্রতিদিন খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করলে এবং ডায়েটের দিকে নজর রাখলে অল্প দিনেই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে শুরু করে। কারণ খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই সবকটি উপাদান উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সাথে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি, কনস্টিপেশন সারাতে এবং কোষের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এই উপাদানগুলির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। খেজুরে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম ধমনীদের ইলাস্ট্রিসিটি বাড়িয়ে দেয়। ফলে ব্লাড ফ্লো স্বাভাবিক হতে শুরু করে। যে কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে যে কোন মুহূর্তেই। ব্যবহার পদ্ধতি : ১। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তিনটা খেজুর খেতে হবে। ২। খাজুর খাওয়ার সময় অবশ্যই এক গ্লাস গরম পানি খেতে হবে। ৩। টানা এক মাস এই ভাবে খেজুর এবং গরম পানি একসাথে খাওয়ার অভ্যাস করুন, এতে অনেকটা উপকার পাবেন।