নিজস্ব প্রতিনিধি : সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সারা দেশের মতো সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সারাদেশের ন্যা “নো ওয়ার্ক” কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ইউনিটের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।
এসময় শিক্ষকরা পৃথক অধিদপ্তরে শিক্ষকদের এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেড ধরে ৪ (চার) স্তরবিশিষ্ট পদসোপন, বকেয়া টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড প্রদান, দীর্ঘদিন প্রমোশন বঞ্চিত যোগ্য শিক্ষকগণের দ্রুত প্রমোশনের ব্যবস্থা করা ও অতিরিক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য অ্যাডভান্সড ইনক্রিমেন্ট আগের মতো বহাল রাখার দাবী জানান।
এসব অবহেলার প্রতিবাদেই তারা ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতি পালন করতে বাধ্য হয়েছেন। তারা আরো বলেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও দীর্ঘদিনের বৈষম্য দূরীকরণের জন্য এই আন্দোলন। সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় গেজেট প্রকাশ ও নির্দেশনা না দিলে কর্মসূচি চলমান থাকবে।” পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জনের বিষয় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম টুকু বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের দাবী যথাযথ কিন্তু শিক্ষা ব্যাহত করে আন্দোলন হচ্ছে তাই মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে শিক্ষক কর্মবিরতির কারণে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ভোগান্তি ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যে কারনে সকরকারকে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবী আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহবান জানান অভিভাবকরা। এসময় বক্তব্য রাখেন বাসমাশিস সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ইউনিটের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আব্দুর রউফ, শ্যামল কুমার দাশ, সাইফুল ইসলাম, মো. ইসমাইল হোসেন, জি এম আলতাফ হোসেন, দুলাল চন্দ্র মন্ডল, গাজী মহব্বত হোসেন, আব্দুস ছবুর, নার্গিস সুলতানা, রোকেয়া সুলতানা, এবং সহকারী শিক্ষক কাবিজুল ইসলাম, দিব্যেন্দু সরকারসহ অন্যান্য শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে অংশ নেন।