নিজস্ব প্রতিনিধি : ‘ফ্রম হিমালয় টু সুন্দরবনস: এগ্রোইকোলজি এ্যাজ ক্লাইমেট সলুশ্যন’ শীর্ষক সাউথ-এশিয়ান পিপলস ডায়ালগে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় এগ্রোইকোলজিকেই কার্যকর সমাধান হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ফরেস্ট স্টেশনে গ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা এই ডায়ালগের আয়োজন করে।
সংলাপে নেপালের সোশ্যাল ওয়ার্ক ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি, গ্রীন কোয়ালিশনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর প্রতিনিধিবৃন্দ, যুব স্বেচ্ছাসেবক এবং কৃষক-কৃষাণীরা অংশ নেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন গ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরার উপদেষ্টা অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস।
সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারসিক এর সমন্বয়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলম। আলোচনায় অংশ নেন নেপাল স্যোশাল ওয়ার্ক ইন্সটিটিউট এর এগ্রোইকোলজি কোঅর্ডিনেটর আশিষ থানি, প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর ভক্ত বাহাদুর খাটি, শ্রিজনাসিল পারমাকালচার সেন্টার এর চেয়ারপারসন দিলমায়া গুরুং, গ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরার উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার প্রমুখ।
সংলাপে নেপাল ও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জলবায়ু সংকটের চিত্র, জলবায়ু অভিঘাতের অভিন্ন ও ভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং এসব সংকট মোকাবিলায় স্থানীয় জ্ঞান, প্রতিবেশীয় কৃষি ব্যবস্থা ও খাদ্য সার্বভৌমত্বের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
পাশাপাশি পাহাড়ি ঢল, অতিবৃষ্টি, লবণাক্ততা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূল ও পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের সুরক্ষায় এগ্রোইকোলজিভিত্তিক উদ্যোগ জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সংলাপে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার, কৃষক-কৃষাণীদের নেতৃত্বে এগ্রোইকোলজি সম্প্রসারণ এবং নীতি পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। #