কালিগঞ্জ ব্যুরো : নাশকতার প্রস্তুতিকালে পুলিশ ১১জন জামায়াত শিবিরের কর্মীকে আটক করেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইন্দ্রনগর মোড় থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামের শওকত মোড়লের ছেলে আব্দুল ওয়াহেদ (৬০),তার ভাই আব্দুল গফুর (৪৫), একই গ্রামের সামছুদ্দিন গাজীর ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫), একই গ্রামের নাজিরউদ্দিন পাড়ের ছেলে আব্দুস সালাম পাড় (৩০), আমজাদ সরদারের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (১৯), কলিমউদ্দিনের ছেলে আকবর হোসেন (৫০), শাহাদাৎ পাড়ের ছেলে রফিকুল ইসলাম(৫০), পূর্ব নলতা গ্রামের রহিমউদ্দিন মোড়লের ছেলে নুরুজ্জামান (৪২), কাজলা গ্রামের আক্কাজ আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম (৪৮), ভাড়াসিমলা গ্রামের ফজর আলী গাজীর ছেলে আব্দুস সবুর গাজী (৫৫), ভাড়াসিমলা (সুলতানপুর) গ্রামের সামছুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান(৪৫)। কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক হেকমত আলী জানান, জামায়াত শিবিরের কর্মীরা তারালী- ইন্দ্রনগর মোড়ে নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে মর্মে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা খবর পান। এরই ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা ইট পাটকেল ও বোমা নিক্ষেপ শুরু করে। এতে উপপরিদর্শক ফণীভূষণ সরকার ও সিপাহী শরিফুল ইসলাম আহত হয়। আহতদের কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১১জন জামায়ত কর্মীকে আটক করা হয়। বেশ কয়েকজন জামায়াত কর্মী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লস্কর জায়াদুল হক জানান, এ ঘটনায় উপপরিদর্শক হেকমত আলী বাদি হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা,১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক দ্রব্য আইন ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রোববার থানায় একটি মামলা(৩নং) দায়ের করেছেন। মামলায় আটককৃত ১১জনসহ ৩০জন ও অজ্ঞাতনামা ১৫০জনকে আসামী করা হয়েছে। আটককৃতদের রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।