মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা জেলার ২২ লক্ষ মানুষের চলাচলের প্রধান সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। বহু-প্রত্যাশিত এ প্রাধান সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় সাতক্ষীরাবাসীর মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে। এ জেলার মানুষ চলাচলে আর যাতে দুর্ভোগের সম্মুখিন না হয় এ লক্ষ্যে দ্রুত ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে (সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে সার্কিট হাউজ পর্যন্ত) সাড়ে ৫ কিঃমিঃ এ রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর কর্মকর্তা ও ঠিকাদার প্রতিনিধিকে সাথে নিয়ে মঙ্গলবার সরেজমিনে এ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শনে যান এবং কাজের সার্বিক বিষয়ে খোজ খবর নেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
এসময় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘সাতক্ষীরা জেলা একটি সম্ভাবনাময় জেলা। এ জেলা থেকে আমরা প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব প্রদান করে থাকি। ভোমরা স্থল বন্দর থেকেও সরকার প্রতি বছর অধিক পরিমাণ রাজস্ব পেয়ে থাকে। এছাড়া এ জেলার আম, চিংড়ী ও খাদ্যশষ্য জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত অংশ বিদেশে রপ্তানী করা হয়। এরপরেও এ জেলা অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত। আমাদের নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ জেলায় মেডিকেল কলেজ, বাইপাস সড়ক, রেল লাইনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পর্যায়ক্রমে কাজ হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ সড়কটির কাজ শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কটি বেহাল দুর্দশায় পরিণত ছিল। আমি জনপ্রতিনিধি, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তাই জনগণের এ দুর্দশা আমাকে পীড়া দেয়। সড়কটি নির্মাণে সাতক্ষীরাবাসী যাতে দুর্ভোগের শিকার না হয় সেজন্য রাতে কাজ করা এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনজুরুল করিম, সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউদ্দিন, মেসার্স মো. মহিউদ্দিন বাঁশি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার শেখ শরিফুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথিসহ সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। এসময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে আশ্বস্ত করে বলেন, নির্মাণ কাজের নির্ধারিত মেয়াদ ২০১৮ সালের জুন মাস। আশা করা যাচ্ছে আগামী ঈদ-উল আযহার আগেই এ জেলার মানুষের চলাচলে প্রাথমিকভাবে উপযোগী করে তোলা হবে।