নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করে টাকা গ্রহণ করে পরে ফেরৎ দিতে অস্বীকার করায় কুলিয়ার অচিন্ত মন্ডল নামের এক ইউপি সদস্যকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে। তিনি কুলিয়া ইউনিয়ন পরিদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
ঘটনার সময় উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি জানান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা কেউ কেউ ইউপি সদস্যদের দ্বারে দ্বারে যেয়ে ভোট চাওয়া ও ভোটারদের মন জয় করার জন্য উপহার হিসাবে মিষ্টি, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পরে জানজানি হয়ে যায় যে, একজন ভোটার একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা পয়সাসহ বিভিন্ন উপহার গ্রহণ করেছে। এদের কাউকে কাউকে ভোটের পরে পরাজিত প্রার্থীদের ভোটারদের কাছে যেয়ে টাকা ফেরত চাইতেও দেখা গেছে। কিন্তু অচিন্ত্য একাধিক প্রার্থীর কাছে ভোট দেওয়ার অঙ্গিকার করলেও ভোট না দেয়ায় পরাজিত প্রার্থীরা তার কাছে টাকা ফেরত চান। অচিন্ত সব প্রার্থীকে একই কথা বলে যে আমি তোমাকে ভোট দিয়েছি, কাজেই আমি আমি টাকা ফেরৎ দিতে পারবো না। গত ৪/৭/১৭ তারিখ মঙ্গলবার ইউপি সদস্য অচিন্ত মন্ডল মাছ কেনা-বেচার জন্য পারুলিয়া সেটে যান। সেখানে সখিপুর কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সাথে দেখা হয়। এসময় জেলা পরিষদের পরাজিত প্রার্থী শাপলার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয় নিয়ে সাইফুল ও অচিন্ত মন্ডলের মধ্যে বাকবিত-ায় জড়িয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা উপস্থিত হলে দু’জনই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এবিষয়ে ইউপি সদস্য অচিন্ত মন্ডল বলেন, “আমিও নিজের ভোটের সময় টাকা পয়সা খরচ করেছি। কিন্তু ভোটের পরে যারা আমাকে ভোট দেয়নি তাদের কাছেতো আমি টাকা চাইতে যাইনি।” তিনি আরো বলেন, “আমি মঙ্গলবার সকালে পারুলিয়া মৎস্য সেটে গেলে সাইফুল ইসলামের সাথে দেখা হয়। সেখানে শাপলার ভোটের টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে সাইফুলসহ কয়েকজন আমাকে মারপিট করেন। এসময় স্থানীয়রা উপস্থিত হলে সবাই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আমি উক্ত ঘটনায় প্রচ- আহত হয়ে ডাক্তারের কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যাই।”
এবিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমি শুধু শাপলার কাছ থেকে তাকে টাকা নিতে দেখেছি। এজন্য শাপলা অচিন্তের কাছে টাকা চাইলে অচিন্ত আমার কাছে টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে কয়েকবার সময় নেয়। কিন্তু সে আমার কাছে টাকা ফেরৎ না দিয়ে ঘোরাতে থাকে। গত মঙ্গলবার আমার সাথে অচিন্তের দেখা হওয়ায় আমার সাথে অচিন্তের দেখা হলে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অচিন্ত আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। কিন্তু স্থানীয় লোকজন সেখানে উপস্থিত হলে কুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম অচিন্তকে নিয়ে চলে যায়। এছাড়া অচিন্তের সাথে আমার কোন প্রকার মারমারির ঘটনা ঘটেনি।”