অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে বিসিবির হাই-পারফরম্যান্স (এইচপি) দল। ডারউইনের এমসিজি মাঠে নর্দান টেরিটরির (এনটি) আমন্ত্রিত একাদশকে নাটকীয়ভাবে এক উইকেটে হারিয়েছে লিটন-বিজয়রা।
রোমাঞ্চকর এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০তে লিড পেল সফরকারী টাইগাররা।
বুধবার এনটি দলের দেয়া ১৯০ রানের লক্ষ্য ৩ বল ও এক উইকেট হাতে রেখে টপকায় এইচপি দল। ভালো শুরুর পর হঠাৎ ব্যাটিং বিপর্যয়ে হার দেখতে শুরু করেছিল লিটন দাসের দল। অলরাউন্ডার তানবীর হায়দারের লড়াকু অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংসে মান বাঁচে সফরকারী দলের।
ছোট লক্ষ্য বলেই হয়তো তাড়াতাড়ি ম্যাচ শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন এইচপি দলের দুই ওপেনার লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয়। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ৩১ বলে চারটি চার ও এক ছয়ে ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন। দলের পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় মাত্র ৬ ওভারেই।
লিটনের ব্যাটে ঝড় থামার আগেই টাইগার শিবিরে নামে বিপর্যয়। ২৯ বলে ২০ করে এনামুলের বিদায়ে ভাঙে ওপেনিং জুটি। তিনে নেমে ১ রান করে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মেহেদি মারুফ ৭, ইমতিয়াজ হোসেন তান্না ৯ ও তাসামুল হক ৭ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভেঙে পড়ে মিডলঅর্ডার।
লিটনের একার লড়াই থামে দলীয় ১২৯ রানে। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন লিটন। অষ্টম উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েন তানবীর হায়দার ও আবুল হাসান রাজু। ৩১ রান করে রাজু সাজঘরে ফিরলে আবার শঙ্কায় পড়ে দল।
দশে নেমে ৪ রান করে ফিরে যান আবু হায়দার রনি। শেষ জুটিতে প্রয়োজন পড়ে ১৩ রানের। দোদুল্যমান অবস্থা থেকে জুবায়ের হোসেনকে নিয়ে কঠিন পথ পাড়ি দেন তানবীর। শেষ ১৩ রানের মধ্যে জুবায়েরের অবদান ১ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান তোলে এনটি একাদশ। দলের পক্ষে ৭৮ বলে ৭৪ রান করেন ডিকম্যান। ৪২ রান করেছেন গ্রেগরি। এছাড়া তেমন কেউ স্বাগতিক দলের হয়ে অবদান রাখতে পারেননি।
আবুল হাসান বোলিংয়ে নিয়েছেন দুটি উইকেট। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি আবু হায়দার রনি ১০ ওভারে ৪ মেডেনসহ ২৮ রানে নেন ১ উইকেট। লেগস্পিনার জুবায়ের ৯ ওভারে ৩৩ রানে নিয়েছেন ১টি। একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফউদ্দিন ও আবু জায়েদ রাহি।
এইচপি দলের পরের ম্যাচ বৃহস্পতিবার। একই মাঠে হবে ম্যাচটি। পরে ৭, ৯ ও ১১ জুলাই হবে সিরিজের বাকি তিন ওয়ানডে।