শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু : শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের (সাময়িক বরখাস্ত) চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল বারী পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই ২য় বিয়ে করেছেন। মোবাইলে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তিনি শেষ পর্যন্ত এই বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় ও তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলা জামাতের সাবেক আমীর ও বরখাস্তকৃত উপজেলা চেয়ারম্যন আলহাজ্ব মাওলা
না আব্দুল বারী মোবাইল প্রেমের মাধ্যমে ২য় বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার হাজেরালী মোড় সংলগ্ন রাজাপুর গ্রামের দাঊদ আলীর কন্যা ফুলি খাতুনকে(৪৫)কে তিনি ২য় বধু হিসেবে গত ৬ জুলাই রাতে আটুলিয়ার হাওয়াল ভাংগীর বাড়িতে নিয়ে আসেন। এর আগে তিনি দীর্ঘ প্রায় ২ বৎসর যাবত ওই নারী সাথে পরকীয়া করে আসছিলেন। তার এ কর্মকা-ে একপর্যায়ে এলাকার লোকজন বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে এবং তাকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। স্বামী হারা ফুলি প্রায়সময় ভারতের মুম্বাই শহরের যান এবং সেখানে কয়েক মাস থাকেন। তবে তিনি ঠিক কি কাজ করতেন কেউ জানেন না। তাদের এই বিবাহ প্রায় ১ বৎসর যাবৎ গোপন ছিল। ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বারী সেখানে সময় কাটাতেন। প্রায় ২ মাস পূর্বে প্রথম স্ত্রী ও আতœীয়স্বজন সেখানে গিয়ে আব্দুল বারীকে নিয়ে আসে। বিষয়টি নিয়ে শ্যামনগরের সর্বত্র গুঞ্জন হলেও বারী তা অস্বীকার করেন। অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বধু বেসে হাওয়াল ভাঙ্গীর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে গুঞ্জনটি সত্যতা মেলে। তিনি কয়েকবার উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন অবিবাহিত/বিবাহিত মেয়েদের সাথে সম্পর্কের গুঞ্জন উঠলেও তা নানাভাবে ধামাচাপা দেওয়া হয়। তার প্রথম পক্ষে ১ মেয়ে ও ২ ছেলে রয়েছে। মেয়ে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা, জামাতা হাইস্কুল শিক্ষক, বড় ছেলেও বিবাহিত এবং ছোট ছেলে বিবিএ অধ্যয়নরত। তিনি নানা হয়ে দাদার মর্যাদা পাওয়ার পথে। এই জামাত নেতার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে সুযোগে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে, জমি বিক্রয় করার কথা বলে, হাওলাত/ঋণ হিসেবে আতœীয় ও সাধারণ মানুষের কাজ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়াও অভিযোগ আছে। হাওয়াল ভাংগী ও শ্যামনগর পশু হাসপাতাল সংলগ্ন তার আলীশান বাড়ি রয়েছে। প্রথম স্ত্রী মারধর ও সন্তানদের ত্যাজ্য করা, প্রাণনাশের হুমকিসহ তালাকের হুমকিও দিচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাদের পরিবার এখন দারুণ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে তিনি ডায়েবেটিস রোগি এবং শারিরীকভাবে অসুস্থ হলেও মন মানেনি সাজানো সংসার ভাংতে। তার এধরনের কাজে এলাকার সর্বত্র নিন্দা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। জামাত নেতা মাওলানা আব্দুল বারী তার বিরুদ্ধে আনিত অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করলেও বিবাহ করে ২য় স্ত্রীকে বাড়িতে আনার কথা স্বীকার করেন।