কেএম রেজাউল করিম : দেবহাটায় এক ৭ম শ্রেণির ছাত্রী আন্না(১৪) ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ প্রদানের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ঘটেছে। এ ঘটনায় বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় উক্ত ছাত্রীর মামা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনা সূত্রে ও মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম জানায়, তার বোন ও উক্ত ছাত্রীর মা জসিমুন নেছা, বোনের স্বামী মোস্তফা শেখ এবং কন্যা ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর আন্না পারভীন দেবহাটার পাতাখালি গ্রামের আতœীয়র বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি আব্দুল গনি মোড়লের পুত্র সিরাজুল ও তার পরিবার উক্ত ছাত্রীর অভিভাবকদের কাছে বিবাহের প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় প্রস্তাবকারী সিরাজুল ও তার বাহিনীরা তাদেরকে গভীর রাতে আতœীয়র বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে। তাদের কে সিরাজুলের বাড়িতে রেখে মারপিট করে। এ সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক সিরাজুলের শ্যালক সদর উপজেলার হাড়দ্দা গ্রামের সামাদ আলীর পুত্র শাহজাহানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হয়। পরদিন সকালে বিষয়টি মেয়ের মামা সাইফুল ইসলামকে জানালে তিনি দেবহাটা থানা পুলিশের সহযোগীতায় তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধার করে দেবহাটা থানায় নিয়ে আসা হলে উভয় পক্ষ কে ডাকা হলে সিরাজুলের পিতা আব্দুল গনি থানায় আসেন। কিন্তু তিনি কৌশালে থানা থেকে বের হয়ে যান। পরবর্তীতে ছাত্রীর মামা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনসহ ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে অপহরন ও জোরপূর্বক বিবাহ প্রদান করায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার ৫ তারিখ-৬/৭/১৭। এঘটনার পর থকে মামলায় উল্লেখিত আসামীরা আতœগোপন করেছে। এদিকে, ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রকাশ্য হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করছে মামলায় উল্লেখিত আসামীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে, বাল্যবিবাহতে শিকার ঢাকা জাহা আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী আন্না পারভীন(১৪) বলেন, আমি বিয়ে করতে রাজি হইনি। আমাকে জোর করে সিরাজুল তার শালার সাথে বিয়ে দিয়েছে। এমনকি তারা আমার বাবা, মা ও আমাকে কে সিরাজুল ও তার বাহিনী অনেক মারপিট করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। আমি বিষয়টির সঠিক বিচার চাই। দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেন বিষয়টির সত্যতা শিকার করে বলেন, ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিবাহ প্রদান করার ঘটনা ঘটেছে। ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। অতিদ্রুত দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।