ডেস্ক রিপোর্ট: মুন্সীগঞ্জ শহরের কাছে বাগবাড়ী এলাকায় গ্রাম্য সালিশে ২৫টি করে বেত্রাঘাতে আহত হয়েছে ২৩ শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বেত্রাঘাতে আহত শিক্ষার্থীদের নাম জানা যায়নি। তাদের মধ্যে ২১ জনকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি নৌ-ভ্রমণে গিয়ে স্কুলছাত্র আরাফাত হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল বাগবাড়ী মসজিদ প্রাঙ্গণে গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশি বৈঠকে পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা নৌ-ভ্রমণে যাওয়া অপর ২৩ শিক্ষার্থীকে ২৫টি করে বেত্রাঘাত ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর নৌ-ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ হয় বাগবাড়ী এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত। তিন দিন পর জেলার সিরাজদীখান উপজেলার দোসরপাড়া এলাকার ইছামতী নদীতে আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাম্য সালিশ বসে।
পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য এবং চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন বলে পরিচিত টিটু ও আরিফ শিক্ষার্থীদের ২৫টি করে বেত্রাঘাত করেন। বেত্রাঘাতে আহত শিক্ষার্থীদের পরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান ও পঞ্চসার ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চায়েত কমিটি শিক্ষার্থীদের বিচার করে। ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সঞ্জয় পোদ্দার বলেন, তিনি ২১ জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন, যাদের সবাই বাগবাড়ী এলাকার কিশোর। তাদের সবার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাঠি দিয়ে আঘাত করা হতে পারে। আহত কিশোরদের কারো অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়। মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।