তালা

বাল্যবিয়ের খেসারতে শিশু বধূ থানায়!

By Daily Satkhira

July 09, 2017

নিজস্ব প্রতিবেদক : তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটায় গ্রামে বাল্যবিবাহের ঘটনায় নববধূসহ এলাকার মেম্বার মোঃ আব্দুল করিম বিশ্বাসকে পাটকেলঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার মৈত্র, এস,আই পীযূষ দাশসহ সঙ্গীয় ফোর্স থানায় নিয়ে গেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য এ্যাড. শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি, মাহফুজা সুলতানা রুবি, এ্যাড. সেলিনা আকতার শেলী, তালা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক আলেয়া খাতুন প্রমুখ। সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার সকাল ১১ যখন উপরোক্ত ব্যক্তিরা ছেলের বাড়িতে যায় তখন তারা সেইবাড়িতে বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা চলছে তারপর সে বাড়িতে একসাথে নববধূ ইয়াসমীন এবং বর মোজাহারুলকে দেখা মাত্র বর ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এছাড়া গত ০৭-০৭-২০১৭ তারিখে গোপনে রেজিস্ট্রি ছাড়া হুজুরের মাধ্যমে বিয়ে হয়। শনিবার বরের বাড়ি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলার সময় সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়। এসময় ছেলের চাচা বর্তমান নগরঘাটা ইউপি এর ২ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আব্দুল করিম বলেন, এটি আমার বাড়ির সামনে হলেও আমি কিছুই জানি না। এ বিষয়ে এলাকার চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান লিপু বলেন শুক্রবার রাত ১১ টা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সমাধান করা হয়েছিল যে এদের এখন বিয়ে হবে না যতদিন ১৮ বছর বয়স না হয়। পরে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে পাটকেলঘাটা থানায় অবগত করেন তখন পাটকেলঘাটা থানার ওসি তদন্তসহ উপরোক্ত কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন এবং প্রতিবেদককে জানান গতকাল থানায় ভিকটিম পরিবারের সাথে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন যতদিন প্রাপ্তবয়স্ক না হয় ততদিন বিবাহ দেবেন না তবুও পরদিন তাদের বিয়ের আয়োজনকে আইন বিরোধি মনে হওয়ায় তাদেরকে থানায় নিয়ে এসেছি। বর্তমানের তারা থানায় অবস্থান করছেন। এসময় থানার ওসি ছুটিতে ছিলেন বলে জানান ডিউটিরত এ,এস,আই সায়েদুল। এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয় যার নম্বর ২১৮। পরে ইউপি চেয়ারম্যান এর জিম্মায় মেয়েটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।