আসাদুজ্জামান : সাত্ক্ষীরায় ঈদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ডের ৪৫ বস্তা গম বিতরণ না করে গুদামজাত করার অভিযোগে কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের খাদ্যগুদাম ঘর সিলগালা করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহারিয়ার মাহমুদ রঞ্জু ও জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন শাখার সহকারি কমিশনার সাফিয়া আফরিন এ সিলগালা করে দেন। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ভিজিএফ এর আওতায় ঈদ উল ফিতরের জন্য সরকারি ভাবে ১০ কেজি চাউলের পরিবর্তে ১৩ কেজি করে গম কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়নের চার হাজার ১০৫ জনকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যথাসময়ে চম্পাফুল ইউনিয়ন পরষিদে গম পৌঁছানোর পরও তা বিলি না করে ঢাকায় চলে যান ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক গাইন। চেয়ারম্যান ঢাকা থেকে ফিরে এসে ওই গম বিক্রি করবেন এমন খবর জানতে পেরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি জেলা ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। সে অনুযায়ি কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহাররিয়ার মাহমুদ রঞ্জুকে সঙ্গে নিয়ে জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন শাখার সহকারি কমিশনার সাফিয়া আফরিন গতকাল বেলা ১১টার দিকে চম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। পরিষদের গুদামে ভিজিএফ এর ৪৫ বস্তা গম রয়েছে সংশ্লিষ্ট ই্উপি সচীব মনিরুজ্জামনের মারফৎ জানতে পেরে তিনি ওই গুদামের দরজায় তালা লাগিয়ে সিলগালা করে দেন। চম্পাফুল ইউনিয়নর পরিষদের সচীব মোঃ মনিরুজ্জামান, জানান, ঈদের জন্য বরাদ্দ হলেও গম নির্ধারিত তারিখের কয়েকদিন পর পরিষদে পৌঁছায়। এরপর চেয়াম্যান ও ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে ১০ টাকার সরকারি চাল বিতরণে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে দুদকের মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে গত ১৪ জুনের পর থেকে তারা নিয়মিত পরিষদে আসতে পারেননি।। ফলে ভিজিএফ এর ওই গম যথাসময়ে বিতরণ করা হয়নি। তারা সোমবার রাতে এলাকায় ফিরে বুধবার ওই গম বিলি করার কথা ছিল। জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন শাখার সহকারি কমিশনার সাফিয়া আফরিন জানান, চম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের ভিজিএফ এর বরাদ্দকৃত গম বিতরণ না করার অভিযোগে ৪৫ বস্তা গমভর্তি গুদামে সিলগালা করা হয়েছে। পরবর্তীতে ওইসব জনপ্রতিনিধি সন্তোষজনক জবাব দিলে সিলগালা সরিয়ে নেওয়া হবে।