কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার অপহৃত হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে এক নারীকে ঢাকায় এনে জবানবন্দি নেওয়ার ব্যবস্থা করল পুলিশ। জবানবন্দিতে ওই নারী বলেছেন, তাঁর জন্য ‘টাকা সংগ্রহ’ করতে ওই দিন ফরহাদ মজহার বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন।
গতকাল দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের কাছে ওই নারী জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, তাঁর বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। তবে তিনি ওই জেলার দক্ষিণ সোনাখালীতে থাকেন। ডিবি পুলিশ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক আত্মীয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে সোমবার তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসে।
জবানবন্দিতে ওই নারী বলেন, ২০০৬ অথবা ২০০৭ সালের মাঝামাঝি ফরহাদ মজহারের এনজিও উবিনীগে তিনি চাকরি পান। সেখানে ফরহাদ মজহারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে তিনি ফরহাদ মজহারের ভক্ত হন। তিনি বলেন, ফরহাদ মজহার তাঁকে প্রয়োজন মোতাবেক মাসে ১০-১২ হাজার টাকা করে দিতেন। গত ১৬ এপ্রিল তিনি ফরহাদ মজহারের কাছে টাকা চান। গত ৩ জুলাই ফরহাদ মজহার তাঁকে ফোন করে বলেন, তাঁর টাকা জোগাড় করার জন্য তিনি বেরিয়েছেন। এরপর ১১টার দিকে তিনি ফরহাদ মজহারকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন, তিনি অপহৃত হয়েছেন কি না। ফরহাদ মজহার ভালো আছেন বলে তাঁকে জানান। সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি তাঁকে ফোন করে একটি অ্যাকাউন্ট নম্বর চাইলে তিনি তাঁকে ডাচ্-বাংলার অ্যাকাউন্ট নম্বর দেন। ফরহাদ মজহার তাঁকে দুটি নম্বর থেকে ১৫ হাজার টাকা পাঠান।
ওই নারীর জবানবন্দির ব্যাপারে জানতে চাইলে ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার বলেন, ‘সংবাদকর্মীদের কাছে থেকে এটা শুনে আমি হতভম্ব। এটা অবিশ্বাস্য। আগে যা শুনেছি আর এখন যা শুনছি, তার মধ্যে কিছুই মিলছে না। অপহরণের ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এটা করা হতে পারে।’