আজকের সেরা

সরকারি মহিলা কলেজ হোস্টেলে অগ্নিকাণ্ড, ৫ ছাত্রী হাসপাতালে/অধ্যক্ষ থাকেন না কলেজে, হোস্টেলের দায়িত্ব অল্পবয়সী পুরুষ শিক্ষকদের!

By Daily Satkhira

September 24, 2016

আমির হোসেন খান চৌধুরী: সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী হোস্টেলে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। আগুনের ধোয়া ও অন্ধকারে হুড়োহুড়িতে আহত হয়েছে হোস্টেলের ৫ জন ছাত্রী। আহতদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। বাকি ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে মহিলা হোস্টেলের নীচ তলায় এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দিলে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আতিয়ার রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান, বৈদ্যুতিক সর্ক সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। আগুনের ধোয়ায় ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে তিনি জানান। আহত ছাত্রী আয়শা, সাদিয়া, খাদিজা ও মনালিসা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ হাসান সরোওয়ার্দী ও উপাধ্যক্ষ এ কে এম আনোয়ারুজ্জামান মুকুলসহ সদর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে ছাত্রীদের অভিযোগ, জেলার একমাত্র সরকারি মহিলা কলেজটির বর্তমান অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ হাসান সরোওয়ার্দী কলেজে উপস্থিত থাকেন না বললেই চলে। তিনি ছুটির দরখাস্তে স্বাক্ষর করে রেখে দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকেন। বিশেষ দিবস বা বিশেষ কারণ ঘটলেই কেবল তিনি কলেজে আসেন। অন্য অধিকাংশ সময় তিনি জেলার বাইরে থাকেন। যদিও এই মুহুর্তে তিনি কলেজে আছেন। কারণ গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কলেজে অডিট চলছে, যা ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। ছাত্রীরা আরও জানায়, কলেজটি মূলত উপাধ্যক্ষ এ কে এম আনোয়ারুজ্জামান মুকুলই পরিচালনা করেন। মহিলা কলেজের হোস্টেলের দায়িত্ব সাধারণত মহিলা শিক্ষকদের দেয়া হলেও আর তিনি হোস্টেল সুপার ও সহকারী হল সুপার হিসেবে দুইজন অল্পবয়সী পুরুষ শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। যারা ঠিকমত মেয়েদের খোঁজখবর নিতে পারেন না বা নেন না। যে কারণে হোস্টেলের ছাত্রীরা যথাযথভাবে সেখানে থাকতে পারছে কিনা বা তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার বা বোঝার কেউ নেই।