রাজনীতি

২০১৩ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৪৩৫ ব্যক্তি গুম: বিএনপি

By Daily Satkhira

July 12, 2017

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং গুম হওয়া পরিবার থেকে পাওয়া তথ্যের বরাতে বিএনপি জানিয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৪৩৫ ব্যক্তি গুম হয়েছেন। এর মধ্যে ২৫২ জনের এখনও হদিস পাওয়া যায়নি। ৩৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। আর ৩৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং ২৭ জন বিভিন্ন সময়ে মুক্তি পেয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির কাছে গুম ও নিখোঁজদের তালিকা চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ তালিকা প্রকাশ করে বিএনপি। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই তালিকা প্রকাশ করেন।

এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গুম ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ পান না অথচ গুম হওয়া মানুষদের পরিবারের নীরব কান্না থেমে নেই। আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীদের চোখে পানি না আসলেও গুম হওয়া, খুন হওয়া, নির্যাতনের শিকার হওয়া স্বজন ও সহকর্মীদের চোখের পানিতে এখন বাংলাদেশ ভাসছে।

রিজভীর দেয়া তথ্য মতে, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরে কেবলমাত্র ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থান ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে কমপক্ষে ৫০ জনকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। গুম হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই বিএনপি বা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনই অপেক্ষায় থাকেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য চৌধুরী আলম, সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হীরু, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির পারভেজ, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদল সভাপতি আমিনুল ইসলাম জাকির, তেজগাঁও থানা বিএনপি নেতা সাজেদুল হক সুমন, সাজেদুলের খালাতো ভাই জাহিদুল করিম (তানভীর), পূর্ব নাখালপাড়ার আবদুল কাদের ভূঁইয়া (মাসুম), পশ্চিম নাখালপাড়ার মাজহারুল ইসলাম (রাসেল), মুগদাপাড়ার আসাদুজ্জামান (রানা), উত্তর বাড্ডার আল আমিন, বিমানবন্দর থানা ছাত্রদল নেতা এ এম আদনান চৌধুরী ও কাওসার আহমেদ, সবুজবাগ থানা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাবুব হাসান, খালিদ হাসান (সোহেল) ও সম্রাট মোল্লা, জহিরুল ইসলাম (হাবিবুর বাশার জহির), পারভেজ হোসেন, মো. সোহেল (চঞ্চল), নিজাম উদ্দিন (মুন্না), তরিকুল ইসলাম (ঝন্টু), কাজী ফরহাদ, সেলিম রেজা (পিন্টু), ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন কুসুমসহ অনেকের হতভাগ্য পরিবার।

তিনি আরো বলেন, গুম হওয়া বিমানবন্দর থানা ছাত্রদলের সভাপতি এম এ আদনান চৌধুরীর বাবা রুহুল আমিন ছেলের অপেক্ষায় চোখের পানি ফেলতে ফেলতে অসুস্থ হয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের নেতাকর্মীদের লুটপাটের টাকায় সুইস ব্যাংক জোয়ারের পানির মতো উপচে উঠেছে। তাই অন্যের আহাজারিতে আপনাদের মনে আনন্দ ধরে।’