রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড কলেজ অব নার্সিং এ জোর পুর্বক অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে শিক্ষার্থীদের সনদ আটকে রেখে জোরপুর্বক কম পারিশ্রমিকেও কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে কলেজটির বিরুদ্ধে। এসব অনিয়মের কারণে ওই কলেজের শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা শিকুর ডিউটিরত অবস্থায় রহস্যজরক মৃত্যুর তদন্ত দাবিতে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবেরর সামনে মানববন্ধন করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম ব্যাচে বিনা শর্তে ২৮জন শিক্ষার্থী ভর্তি করায়। যাদের মধ্যে ২৬জনই এখান থেকে বিএসসি ইন নার্সিং সম্পন্ন করে। কিন্তু কোর্স শেষ হওয়ার পরে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট আটকে জনপ্রতি টিউশন ফি বাবদ ৮ লাখ টাকা করে দাবি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অন্যথায় নামমাত্র বেতনে তাদের মুল প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড হাসপাতালে চাকরি করার প্রস্তাব দেয়। যেখানে প্রতিমাসে মুল বেতনের অর্ধেক হারে টিউশন ফি’র জন্য কেটে রাখা হবে বলে জানানো হয়। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়ে শিক্ষার্থীরা। তারা প্রতিবাদ করলে নানা ধরনের ভয়ভীতিসহ হয়রানি করতে থাকে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারা বলেন, কলেজটির অধ্যক্ষ মমতাজ খানম শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নষ্ট করে দেয়াসহ পরিবারের সদস্যদের ডেকে এনে ভুল বুঝিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর নেন। এরই জেরে, গত তিন চার মাস আগে ২০১১-১২ ব্যাচের দরিদ্র শিক্ষার্থী শারমির সুলতানা শিকু অনেকটা বাধ্য হয়েই ইউনাইটেড হাসপাতালে যোগদান করে। পরে গত ১১ জুলাই গভীর রাতে হাসপাতালে ডিউটিরত অবস্থায় তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রচন্ড মানসিক চাপের কারনেই সে আত্নহত্যার পথ বেঁছে নিতে পারে। এ সময় তারা শিকুর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ি ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেছে।