তালা

তালায় কপোতাক্ষ নদের স্লুইস গেটে ভাঙন, ঝুঁকিতে শতাধিক গ্রাম

By Daily Satkhira

July 15, 2017

সেলিম হায়দার : অপরিকল্পিতভাবে সংযোগ খাল খনন করায় কপোতাক্ষ নদের স্লুইস গেট ভেঙ্গে ২০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। আর প্লাবন ঝুঁকিতে প্রায় শতাধিক গ্রাম। ইতিমধ্যে ভেঙ্গে গেছে তালা-পাটকেলঘাটা সড়কের মাগুরা বাজার সংলগ্ন সড়কের একাংশ। যে কোন মূহুর্তে বন্ধ হতে পারে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়া তলিয়ে গেছে আমনের বীজতলা ও মৎস্য ঘের। কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে তালা উপজেলার মাগুরা বাজার সংলগ্ন স্লুইস গেটে ভাঙন দেখা দেয়। সময়ের সাথে সাথে ভাঙ্গন তীব্র হয়ে পানি বাড়তে শুরু করে। সংবাদ পেয়ে শনিবার সকালে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এলাকাবাসি। তারা অভিযোগ করেন,‘স্থানীয় চেয়ারম্যান গণেশ দেবনাথ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আতাত করে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম করেছে। নদের সংযোগ খাল সংস্কারের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তার প্রকল্প সভাপতি ছিলেন চেয়ারম্যান। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে লুটপাট করেছেন। এজন্য ভাঙন দেখা দিয়েছে।’ এলাকাবাসি জানান, স্লুইচ গেটটি বন্ধ না হলে মাগুরা, জালালপুর ও খলিষখালী ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাবে। ইতিমধ্যে ভেঙ্গে গেছে তালা-পাটকেলঘাটা সড়কের মাগুরা বাজার সংলগ্ন সড়কের একাংশ। যে কোন মূহুর্তে বন্ধ হতে পারে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়া তলিয়ে গেছে বারুইপাড়া, ধুলুন্ডা, মাগুরা, মাগরুডাঙ্গা, জালালপুর ইউনিয়নের কিছু অংশের আমনের বীজতলা ও মৎস্য ঘের। এদিকে ভাঙনের খবর শুনে তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন, তালা প্রেসক্লাবের আহবায়ক প্রণব ঘোষ বাবলু ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় স্থানীয় জনগণ তাদের সামনেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মাগুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গণেশ দেবনাথ জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড কপোতাক্ষ নদের সংযোগ খাল ও স্লুইস গেট সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহন করে। ওই প্রকল্পের সভাপতিও তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে সিডিউল মোতাবেক কাজটি বাস্তবায়ন করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন,‘মাটি দিয়ে ইতিমধ্যে স্লুইস গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধি পেলে কি হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।’ যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর গোস্বামী বলেন,‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তাৎক্ষনিক ভাবে দুই জন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থল মাগুরায় পাঠানো হয়েছে। স্লুইস গেট বন্ধ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্টদের নির্র্দেশ দিয়েছি।’ সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন,‘স্লুইস গেট দিয়ে যে ভাবে এলাকায় পানি প্রবেশ করছে, তাতে তিনটি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হবে। ইতিমধ্যে এলজিইডি’র সড়ক হুমকির মধ্যে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে বলা হয়েছে।